1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন

বছরের সর্বোচ্চ পতনে মুন্নু এগ্রো

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০২৩
  • ৭৬ বার দেখা হয়েছে

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের স্বল্প মূলধনী কোম্পানি মুন্নু এগ্রো এন্ড জেনারেল মেশিনারিজের শেয়ার বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) বছরের সর্বোচ্চ পতন হয়েছে। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে প্রায় ৬.৫০ শতাংশ। যদিও অ্যাডজাস্টমেন্টের ক্লোজিং প্রাইস অনুযায়ি দর কমেছে ৫.৭৪ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছরের ২৮ জুলাই কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৬৮ টাকা ৭০ পয়সা। এরপর টানা বাড়তে থাকে শেয়ারটির দর। প্রায় দিনই কোম্পানিটির শেয়ার সর্বোচ্চ দরে অর্থাৎ সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হতে দেখা যায়। তবে সর্বনিম্ন দরে বা সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন সীমায় কোনোদিন লেনদেন হতে দেখা যায়নি। যদিও মাঝেমধ্যে শেয়ারটির দর ২-৪ শতাংশ করে কমেছে।

গত ২১ ডিসেম্বর শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) যে ১৬৯টি সিকিউরিটিজের উপর ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে পতনের সীমা ১ শতাংশ ধার্য্য করেছিল, তারমধ্যে মুন্নু এগ্রো মেশিনারিজও অর্ন্তভুক্ত ছিল। এরপর প্রায় সময়ই কোম্পানিটির দর কমেছে ১ শতাংশ। আর বেড়েছে সর্বোচ্চ সীমা ৬.৫০ শতাংশ পর্যন্ত। বুধবার (০১ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১০০ টাকার ওপরে। তবে ক্লোজিং দর হয়েছে ১০৮৬ টাকা ৪০ পয়সায়। যা ছিল গত এক বছরের শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর।

১০ মার্চ ১৬৯টি সিকিউরিটিজের উপর পুনরায় ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। বিএসইসির নির্দেশনা অনুয়ায়ী কোম্পানিটির শেয়ারের উপর আগের ফ্লোর প্রাইস আরোপিত হয়। অর্থাৎ ২৮ জুলাই ২০২২ এর ফ্লোর প্রাইস নির্ধারিত ছিল ৪৬৮ টাকা ৭০ পয়সা। এদিকে শেয়ারটির আগের মতো দর বৃদ্ধি ও কমার ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারিত হয় সাড়ে ৬ শতাংশ।

০২ মার্চ লেনদেন শুরু হলে কোম্পানিটির শেয়ার ১০৯৩ টাকা ৯০ পয়সায় পর্যন্ত লেনদেন হয়। অর্থাৎ বছরের সর্বোচ্চ দরকে অতিক্রম করে লেনদেন হয়। কিছুক্ষণ পর সংশোধনের ধারায় ফিরে শেয়ারটি। শেষ বেলায় কোম্পানিটির শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দর ৬.৫০ শতাংশ কমে ১০১৮ টাকা ৫০ পয়সায় ক্রেতাশুন্য হয়ে পড়ে। যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তবে শেয়ারটির অ্যাডজাস্ট প্রাইস বা ক্লোজিং প্রাইস নির্ধারিত হয় ১০২৪ টাকা ১০ পয়সা।

পতনের মাত্রা অনুযায়ি বৃহস্পতিবার শেয়ারটির দর ছিল বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এদিন শেয়ারটির দর কমেছে ৬৭ টাকা ৯০ পয়সা। যা এর আগে কোম্পানিটির শেয়ার দরে এতোটা পতন দেখা যায়নি।

১৯৮২ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ২ কোটি ৭৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ৪০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২৭ লাখ ৩২ হাজার ৪০০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৫.৬৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫.৩২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ০.০৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৮.৯৭ শতাংশ শেয়ার।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ