1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৬ অপরাহ্ন

ছাত্রকে বিয়ে করা শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক

  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২
  • ১৬২ বার দেখা হয়েছে

নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজছাত্রকে বিয়ের ছয় মাস পর শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামী মামুনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।

শিক্ষিকা খায়রুন নাহার গুরুদাসপুরের খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। মামুন উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মাদ আলীর ছেলে এবং নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা খায়রুনের সঙ্গে মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজি অফিসে গিয়ে দুজন গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর সম্প্রতি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। তবে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার মেনে নেয়নি।

খায়রুন নাহারের স্বামী মামুন বলেন, ‘রাত ২টার দিকে খায়রুন খুব অসুস্থ বোধ করলে আমি ঔষধ নিতে হাসপাতালে যাই। ফিরে এস দেখি দরজা খোলা। তখনই আমার ভেতরে ভয় কাজ করে। শোবার রুমে ঢুকে দেখি খায়রুন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলছে। আমি তাকে নামানোর জন্য বটির খোঁজে রান্না ঘরে যাই। কিন্তু বটি না পেয়ে লাইটার জ্বালিয়ে ওড়নায় আগুন ধরিয়ে দেই। ওড়না অর্ধেক পুড়ে গেলে টান দিয়ে ছিঁড়ে তার দেহ নামিয়ে খাটে শুইয়ে দেই। এরপর দৌড়ে গিয়ে আমি নিচের তালায় নাইট গার্ড নিজাম উদ্দিনকে খবর দেই। ফিরে এসে দেখি সে মারা গেছে। অনেক রাত হওয়ায় আমি পাশের ফ্ল্যাটের কাউকে ডাকিনি।’

নাইট গার্ড নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘রাত ২টার দিকে মামুন নিচে নেমে এসে জানান তিনি হাসপাতালে যাবেন। তখন আমি গেট খুলে দেই। এরপর ফিরে আসার কিছুক্ষণ পরই জানান তার স্ত্রী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। ওপরে গিয়ে আমি খাটের ওপর শোয়ানো মরদেহ দেখতে পাই। পরে পুলিশকে জানানো হয়। এরপর পুলিশ আসে।’

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ফ্যানের সঙ্গে আগুন দিয়ে পোড়ানো ওড়নার অংশ বিশেষ দেখা গেছে। সবকিছু দেখে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যাই মনে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অসম বিয়ের কারণে কলিগ আত্মীয় স্বজন এবং পরিচিতজনদের অসহযোগিতা তার ভেতরে আত্মহত্যার প্ররোচনার কাজ করতে পারে। পুলিশের একাধিক টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। আমরা আশা করছি দ্রুতই সঠিক কারণ জানা যাবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ