কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এই একটা সমস্যা মানুষের মেজাজ বিগড়ে দিতে পারে। পেট পরিষ্কার হলে তবেই তো মুখে হাসি ফুটবে। মেজাজও থাকবে ফুরফুরে। কিন্তু সকাল সকাল শৌচালয়ে গিয়েই যদি তীব্র জ্বালা যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়, তা হলে দিনের সমস্ত কাজই পণ্ড হতে বসে। কোষ্টকাঠিন্য দূর করতে কলা কমলাসহ কয়েকটি ফল খেতে পারেন।
কলা: ফাইবার সমৃদ্ধ কলা দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পাকা কলা অন্ত্রের সিন্ড্রোম উন্নত করে এবং ক্ষুদ্রান্ত্রে উপস্থিত মাইক্রোভিলিকে আরও ভালোভাবে কাজ করতে দেয়, হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
কমলা: কমলা ফাইবার এবং ভিটামিন সির একটি বিশেষ সতেজ উৎস। এই সাইট্রাস ফল কিছুটা পরিমাণে রেচক প্রভাব ফেলে বলে জানা যায়। কমলা খেলে বেশি পরিমাণে ফাইবার পেতে পারেন। কিছু গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে, কমলায় ন্যারিনজেনিন (একটি ফ্ল্যাভোনয়েড) যৌগের উপস্থিতি কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্তদের সাহায্য করতে পারে।
নাশপাতি: নাশপাতিতে কেবল ফাইবারই নয়, ফ্রুক্টোজ এবং সরবিটলও থাকে। শেষের দুটি রেচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং এর মাধ্যমে আমাদের পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
আপেল: আপেল কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়ার উপশম করতে সাহায্য করে। প্রথমটির ক্ষেত্রে, আপেল খোসাসহ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই বাইরের অংশে অদ্রবণীয় ফাইবার থাকে এবং মলত্যাগ বৃদ্ধি করে।
পেঁপে: পেঁপে হলো একটি কম ক্যালরিযুক্ত ফল যা পানির পাশাপাশি ফাইবার সমৃদ্ধ। এটি মলত্যাগ নিয়ন্ত্রণ করে এবং মলত্যাগে সাহায্য করে।