1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৫ অপরাহ্ন

সূচকের পতন, আগের অবস্থানে ডিএসই

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০২৪
  • ২৪ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র রমজোনের দ্বিতীয় দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতন ঘটেছে। বিভিন্ন গুজবে প্রভাবিত হয়ে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রির চাপে ডিএসইর সূচক ৬ হাজার পয়েন্টের নিচে মেনে এসেছে। সে হিসেবে ২ বছর ৯ মাস আগে অবস্থানে ফিরেছে ডিএসইএক্স সূচক।

সপ্তাহের এই চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (১৩ মার্চ) ডিএসই ও সিএসইতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। পাশাপাশি ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে।

ডিএসই ও সিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে, ডিএসইর সূচক ৬ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আরো আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত বিভিন্ন ব্রোকতারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগকারীদের মার্জিন নেওয়ার শেয়ার ফোর্সড সেল (জোরপূর্বক বিক্রি) না করার আহ্বান জানিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বুধবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩২.৭৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯৭৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়া সূচক ৯.০৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩০০ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক ৭.২৬ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৫৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ১১২টি কোম্পানির, কমেছে ২২২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬০টির।

ডিএসইতে এদিন মোট ৪৮৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৬৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, সিএসইর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৭৩.৪৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১০ হাজার ২৯২ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫৭.৮২ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ১০৫ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ১০.৪৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১০৬ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ৭৭.০৩ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৮৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিন সিএসইতে ২১৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৫৯টি কোম্পানির, কমেছে ১৩৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫টির।

সিএসইতে দিন শেষে সিএসইতে ১১ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিইও ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছায়েদুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, গুজব থেকে বিনিয়োগকারীরা বেরিয়ে আসতে পারছেন না। গুজবে প্রভাবিত হয়েছে তারা আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি করছেন। যার ফলে সূচক ৬০০০ পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে। আমার মতে, পুঁজিবাজার পরে যাওয়ার মতো কোনো দৃশ্যমান কারণ নেই। যেসব বিনিয়োগকারী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে শেয়ার বিক্রি করছেন, তাদের আরো জেনে বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ।

এদিকে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মসদ রেজাউল করিম রাইজিংবিডিকে বলেন, আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছে শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া সচেতন বিনিয়োগকারীদের কাছে কাম্য নয়। বাজারে এমন কিছু ঘটেনি যে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিতে হবে। এখন যারা শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন তারই কিছুদিন পরে আবার বেশি দামে শেয়ার কিনবেন। আমরা আশা করব, এ পরিস্থিতি প্রতিষ্ঠানকি বিনিয়োগকারীরা তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে করবে। আর পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) থেকে মধ্যস্থতাকারীদের ১০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার বিষয়টি বিশষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি শিগগিরই বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ