1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০১ পূর্বাহ্ন

এক কার্গো এলএনজিতে ব্যয় হবে ৪২৫ কোটি টাকা

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৩১ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ, শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যে আগামী মার্চের জন্য স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো লিকুইডিফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে পেট্রো বাংলা। এটি চলতি বছরের জন্য পঞ্চম কার্গো আমদানির প্রস্তাব।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) স্পট মার্কেট থেকে মোট ১৩ কার্গো এলএনজি আমদানির নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে সরকারের।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কার্গোটিতে এলএনজির পরিমাণ ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ। সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘গানভর সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড’ এই কার্গো সরবরাহ করবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ৯ দশমিক ৮৪৭ ডলার হিসাবে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ট্যাক্স ও ভ্যাটসহ মোট ব্যয় হবে ৪২৫ কোটি ৮১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।

সূত্র জানায়, এলএনজি কার্গো আমদানির লক্ষ্যে গত ৩০ জানুয়ারি পেট্রো বাংলার সঙ্গে ‘মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ’ (এমএসপিএ) চুক্তি সইকৃত ২২টি প্রতিষ্ঠান বরাবর ই-মেইলে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর বিপরীতে চারটি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেয়। এর মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘গানভর সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড’ মনোনীত হয়।

দরপত্রে অংশ নেওয়া অপর তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে- সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড’র প্রস্তাবিত দর ছিল প্রতি এমএমবিটিইউ ৯ দশমিক ৮৮ ডলার; সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড’র প্রস্তাবিত দর ছিল প্রতি এমএমবিটিইউ ১০ দশমিক ১৭ ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের ‘এক্সিলারেট এনার্জি এলপি’র প্রস্তাবিত দর ছিল প্রতি এমএমবিটিইউ ১০ দশমিক ২২৮৯ ডলার।

জানা যায়, স্পট মার্কেট থেকে এলএনজির মূল্য স্বাভাবিকের চেয়ে বহুগুণে বেড়ে যাওয়ায় ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ ছিল। চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সরবরাহ ঘাটতির ফলে শিল্প খাতে উৎপাদন, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। গ্যাসের ঘাটতির ফলে শিল্প খাতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে গ্যাস সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে এবং গ্যাসের ঊর্ধ্বমূল্য বিবেচনায় প্রয়োজনে বর্ধিত মূল্যে হলেও গ্যাস সরবরাহের জন্য অনুরোধ করা হয়। এ প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ, শিল্প ও সার কারখানায় গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি ক্রয় করা হচ্ছে।

স্পট মার্কেট থেকে উচ্চমূল্যে এলএনজি আমদানির বর্ধিত ব্যয় নির্দিষ্ট শ্রেণীর ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে আদায়ের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জারিকৃত এসআরও অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ১৪ টাকা ঘনমিটার, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ৩০ টাকা ঘনমিটার এবং বাণিজ্যিক (হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য) ক্ষেত্রে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ৩০ টাকা ৫০ পয়সা ঘনমিটার নির্ধারণ করা হয়, যা গত ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ