1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৬:০১ অপরাহ্ন

করোনা ভাইরাসে সাড়ে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা!

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ৭৫৫ বার দেখা হয়েছে
hongkong_corona

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে চীনে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১১০৭ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ১৩৮ জন। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা আগের থেকে কিছুটা কমলেও এ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি কার্যকর না হলে সাড়ে চার কোটি মানুষ মারা যেতে পারেন। আক্রান্ত হতে পারে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অন্তত ৬০ শতাংশ। হংকংয়ের শীর্ষ চিকিৎসা কর্মকর্তা এমন হুশিয়ারি দিয়েছেন।

চীনা প্রশাসনিক অঞ্চলটির প্রধান জনস্বাস্থ্য চিকিৎসা কর্মকর্তা অধ্যাপক গ্যাবরিয়েল লুয়াং বলেন, এমনকি মৃতের হার যদি এক শতাংশেও পৌঁছায়, তবে এই ভাইরাসের সম্ভাব্য বিস্তারে কয়েক হাজার লোক মারা যাওয়ার আভাস দিচ্ছে।

বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যা ৭০০ কোটি। অধ্যাপক লুয়াংয়ের ভাষ্য সঠিক হলে এবং ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব অব্যাহত বাড়তে থাকলে ৪০০ কোটির বেশি লোক এতে আক্রান্ত হবেন। যদিও আক্রান্ত লোকের এক শতাংশও মারা যান, তবে সেই সংখ্যাও সাড়ে চার কোটি হবে।

ব্রিটেনের বিখ্যাত ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইলের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।

চীনে ভাইরাসটির আক্রান্তের সংখ্যা আগের তুলনায় বাড়ছে না বলেই দেখা যাচ্ছে। গত আট দিনের মধ্যে পাঁচ দিনেই এটি কমতির দিকে ছিল। এর অর্থ এই নয় যে ইরাসটির আক্রান্তের সংখ্যা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তবে এতে আশ্বস্ত হওয়ার মতো লক্ষণ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সার্বিকভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকবে এবং দীর্ঘদিন হালকা করে দেখা হবে। কারণ এটি এখন পরিষ্কার যে কিছু রোগীর ক্ষেত্রে সংক্রমণের লক্ষণ সামান্যই ধরা দেয়।

আশার কথা হচ্ছে, করোনা ভাইরাসের রোগনির্ণয় পরীক্ষা ও জ্ঞান বিস্তৃত হচ্ছে। লোকজন দ্রুতই রোগটি নির্ণয় করতে পারছেন এবং বিস্তাররোধে নির্জনে চলে যাচ্ছেন। এতে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমছে।

অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মত, আক্রান্ত এক ব্যক্তি গড়ে আড়াইজনের শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে। তাতে সংক্রমণের সংখ্যা ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে মৃত্যুর সংখ্যা খুবই কম বলেই ধরে নেয়া হচ্ছে।

হালকা লক্ষণ দেখা দেয়া যে এক শতাংশের রোগ এখনও নির্ণয় করা হয়নি, তাদেরও আমলে নিতে হবে বলে জানান অধ্যাপক লুয়াং। তিনি প্রশ্ন রাখেন– বিশ্বের ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ লোক কি আক্রান্ত হতে যাচ্ছেন? হয়তো সেটি হবে না। হয়তো স্রোতের মতো ধেয়ে আসবে।

তিনি বলেন, ভাইরাসটি হয়তো তার প্রাণহানির সংখ্যা কমিয়ে দেবে। সে যদি তার গতিপথের সবাইকেই হত্যা করে, তবে সেটি তার জন্য সহায়ক হবে না। কারণ এতে সে নিজেও মারা যাবে।

মহামারীর আকার নির্ধারণের পর এটির নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি কার্যকর কিনা অথবা সংক্রমণ বন্ধ হচ্ছে কিনা, সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন এ চিকিৎসক।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ