1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:০৮ অপরাহ্ন

ফেঁসে যাচ্ছে শেয়ার দর বৃদ্ধির মূল হোতারা

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৩০০ বার দেখা হয়েছে
Bsec-dse-cse

দেশের শেয়ারবাজারে এক মাসে যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে বা কমেছে, সেসব কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে তদন্তের এ নির্দেশ দিয়েছে। বিএসইসির উপপরিচালক মোহাম্মদ শামসুর রহমান স্বাক্ষরিত এ–সংক্রান্ত আদেশ আজ মঙ্গলবার স্টক এক্সচেঞ্জ দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার (সিআরও) কাছে পাঠানো হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারের টানা উত্থানে অনেক কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়ে দ্বিগুণ-তিন গুণ হয়ে গেছে। নতুন তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধির রেকর্ড করেছে রবি আজিয়াটা। তাতে ১৫ দিনেই কোম্পানিটির ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও শেয়ারের দর সোয়া ছয় গুণ বেড়ে হয়েছে ৬৩ টাকা। এক মাসে রবির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৫৩২ শতাংশ। এ ছাড়া বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩১ টাকার শেয়ারের দর এক মাসে আড়াই গুণ বা ১৫৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। আর আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান লঙ্কাবাংলার ২৩ টাকার শেয়ারের দর এক মাসের ব্যবধানে ৯২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪৪ টাকা। এ রকম আরও অনেক কোম্পানি রয়েছে, যেগুলোর শেয়ারের দর এক মাসে ৫০ শতাংশ থেকে শুরু করে প্রায় সাড়ে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

সব কোম্পানির এ রকম অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কোনো কারসাজি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বিএসইসির নির্দেশনায় সুনির্দিষ্টভাবে কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্তের কথা বলা হয়নি।

গত ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে বা কমেছে, এর পেছনে কোনো কারসাজি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলেছে বিএসইসি। এ ছাড়া তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির বার্ষিক বা প্রান্তিক শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫০ শতাংশের বেশি তারতম্য ঘটেছে, তার পেছনের কারণও খতিয়ে দেখার কথা বলেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এর বাইরে গত এক মাসে যেসব কোম্পানির গড় লেনদেনের পরিমাণ আগের ছয় মাসের গড় লেনদেনের চেয়ে পাঁচ গুণের বেশি বেড়েছে, তারও কারণ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। পাশাপাশি মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বা পিএসআই প্রকাশের আগের ১০ কার্যদিবসে যেসব কোম্পানির দর ও লেনদেন ৩০ শতাংশের কম-বেশি হয়েছে, সেসব কোম্পানির বিষয়েও তদন্ত করবে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ