1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন

শেয়ারবাজারে ওয়ালটনের নতুন ইতিহাস

  • আপডেট সময় : রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২০
  • ৫০৮ বার দেখা হয়েছে
Walton

দেশের শেয়ারবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে শেয়ারবাজারে ওয়ালটনের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে ।

কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে শেয়ার লেনদেন শুরু করেছে ৮ কার্যদিবস। এই আটদিনেই ওয়ালটনের শেয়ার দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে হল্টেড হয়েছে।

আর এর মধ্যদিয়ে দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে এর আগে কোনো কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়ে লেনদেনের প্রথম আট কার্যদিবস টানা হল্টেড হয়নি।

তাছাড়া আইপিওতে সীমিতসংখ্যক শেয়ার ছাড়ার কারণে ওয়ালটনের শেয়ার দাম এমন বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ওয়ালটন আইপিওতে এক শতাংশের কম শেয়ার ছেড়েছে। অন্যদিকে কোম্পানিটির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বাজারে শেয়ারের এক ধরনের সংকট দেখা দেয়ায় টানা দাম বেড়ছে।

ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ মেটাতে শেয়ারবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য গত ৭ জানুয়ারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে বিডিংয়ে অংশ নেয়ার অনুমোদন দেয়।

এ অনুমোদনের ফলে কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণে গত ২ মার্চ বিকাল ৫টা থেকে ৫ মার্চ বিকাল ৫টা পর্যন্ত যোগ্য বিনিয়োগকারীরা বিডিংয়ে অংশ নেন। এ সময়ের মধ্যে বিডিংয়ে অংশ নেন ২৩৩ জন। এসব বিনিয়োগকারীরা সর্বনিম্ন ১২ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭৬৫ টাকা করে ওয়ালেটনের শেয়ার কেনার জন্য প্রস্তাব দেন।

এর মধ্যে সব থেকে বেশি সংখ্যক যোগ্য বিনিয়োগকারী ওয়ালটনের প্রতিটি শেয়ারের জন্য ২১০ টাকা দাম প্রস্তাব করেন। এ দামে ১৪ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক বিনিয়োগকারী দাম প্রস্তাব করেন ১৫০ টাকা করে। এ দামে ১০ বিনিয়োগকারী কোম্পানিটির শেয়ার কেনার আগ্রহ দেখান।

তবে বিডিংয়ে বরাদ্দকৃত ৬০ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ারের জন্য ৩১৫ টাকার ওপরে বিডিং হয়। ফলে কাট-অফ প্রাইস হিসাবে ৩১৫ টাকা নির্ধারিত হয়। এর ওপর ভিত্তি করে কোম্পানিটি ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৬টি সাধারণ শেয়ার ২৫২ টাকা মূল্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীর (অনিবাসী বাংলাদেশিসহ) নিকট বিক্রি করে।

এই সীমিতসংখ্যক শেয়ার নিয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় ওয়ালটনের শেয়ার। প্রথম দিনেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম বাড়ে ৫০ শতাংশ। দ্বিতীয় দিনেও শেয়ার দাম বাড়ে ৫০ শতাংশ।

শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, লেনদেনের প্রথম দু’দিন কোনো কোম্পানির শেয়ার দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। ওয়ালটনের শেয়ার প্রথম দুই দিনেই দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সেই সীমা স্পর্শ করে।

এরপর থেকে ডিএসই থেকে ওয়ালটনের শেয়ার দাম বাড়া বা কমার সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেয়া হয় সাড়ে ৭ শতাংশ। এ নিয়মেই ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ওয়ালটনের শেয়ার লেনদেন হচ্ছে।

প্রথম দুই কার্যদিবসের মতো ২৭ সেপ্টেম্বরও লেনদেন শুরু হতেই ওয়ালটনের শেয়ার দাম সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে। দাম বাড়ার এ প্রবণতা চলে গত সপ্তাহের প্রতিটি কার্যদিবসে।

চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববারও তা অব্যাহত রয়েছে। আজ প্রথমে ৮৫১ টাকা ৫০ পয়সা করে ২৫০টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। তবে লেনদেন শুরু হয় ৮৭৪ টাকা ৮০ পয়সা করে, তা দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ