1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২:২৬ পূর্বাহ্ন

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের অভিযান, ব্যাপক গ্রেপ্তার

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১ মে, ২০২৪
  • ১০৮ বার দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশের শত শত সদস্য মঙ্গলবার রাতে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করছে।গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সৃষ্ট ছাত্র আন্দোলন দমাতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯টার পর কয়েকজন পুলিশ অফিসার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন হ্যামিল্টন হলে প্রবেশ করে। ছাত্ররা মঙ্গলবার সকালে এই ভবন দখল করে এর নাম দিয়েছিল হিন্দস হল। গাজায় ইসরাইলি নৃশংসতার শিকার ছয় বছরের শিশু হিন্দের স্মরণে তারা এই উদ্যোগ নেয়।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার জানায়, তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাসপেন্ড করার কাজ শুরু করেছে।

পুলিশ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সময় জানায়, ‘আমরা সবকিছু পরিষ্কার করছি।’ কলম্বিয়া স্টুডেন্টস ফর জাস্টিজ ইন প্যালেস্টাইন এক এক্স পোস্টে জানায়, পুলিশ অফিসাররা ‘দাঙ্গার সরঞ্জাম পরেছে, কয়েকটি ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলেছে।’ তবে পুলিশের উপস্থিতির মধ্যেই বিক্ষোভকারীরা ‘স্বাধীন, স্বাধীন, স্বাধীন ফিলিস্তিন’ বলে শ্লোগান দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজনীতিবিদ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দমাতে পুলিশ নামানোর তীব্র সমালোচনা করেছেন। তারা ক্যাম্পাসকে ‘সামরিকরণের’ নিন্দা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালে নাগরিক অধিকার এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভের সময় বিক্ষোভকারীরা যে কয়েকটি হল দখল করেছিল, তার অন্যতম ছিল এই হ্যামিল্টন হল।

একটি এক্স পোস্টে বিক্ষোভকারীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সিইউএডির তিনটি দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত তারা হলটিতে থাকার পরিকল্পনা করেছেন। দাবিগুলো হলো : ইসরাইল থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার, আর্থিক স্বচ্ছতা ও দায়মুক্তি।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করার হুমকি দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানের দিন এগিয়ে আসার সাথে সাথে বিক্ষোভকারীদের তাঁবুশিবিরগুলো খালি করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু সংখ্যক আলোচনা অব্যাহত রাখলেও অন্যরা জোরপূর্বক উচ্ছেদের আল্টিমেটামের দিকে ঝুঁকছে। এর ফলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়।

সোমবার টেক্সাস, ইউটাহ এবং ভার্জিনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভের সময় অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে হ্যামিল্টন হল দখলের কয়েক ঘণ্টা আগে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, তারা শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিস্কার শুরু করেছে।

বিবিসি শিক্ষার্থীদের সংবাদপত্র ‘কলাম্বিয়া স্পেকটেটর’ এর বরাতে বলছে, হ্যামিল্টন হলে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে পুলিশ। হ্যামিল্টন হল খালি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংবাদপত্রটি বলছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়। পুলিশ হ্যামিল্টন হলে ঢুকে পড়ে। তারা বিক্ষোভকারীদের ধাক্কা দেয়, আঘাত করে। এর আগে পুলিশকে ঠেকাতে বিক্ষোভকারীদের অনেকে দরজার বাইরে মানবঢাল তৈরি করেন।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ক্রেনের মতো দেখতে বড় ভ্রাম্যমাণ মই বেয়ে পুলিশ ভবনটিতে প্রবেশ করছে। তবে কতজন পুলিশ ভবনে প্রবেশ করেছে কিংবা কতজনকে আটক করা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে তার কিছুই জানা যায়নি।

সূত্র: আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল, ভয়েস অব আমেরিকা, বিবিসি

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ