1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন

পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনে ধীরগতি, শিডিউল বিপর্যয়

  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১১২ বার দেখা হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি, পাবনা : সম্প্রতি ট্রেনে একের পর এক নাশকতার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রেল কর্তৃপক্ষ। তাই নাশকতার শঙ্কায় সতকর্তা অবলম্বন করতে ধীরগতিতে চলাচল করছে পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগের আওতায় প্রায় সব ট্রেন। ফলে গন্তব্যে পৌঁছাতে ট্রেনগুলো ৪ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্ব করছে। এতে সময়মতো ছাড়তেও পারছে না কোনো ট্রেন। দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

পাকশী বিভাগের আওতায় থাকা আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেস খুলনা থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ও চিলাহাটি থেকে সকাল সাড়ে ৮টায় এবং আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস খুলনা থেকে রাত ৯টা ১৫ মিনিটে ও চিলাহাটি থেকে রাত পৌনে ৭টায় ছাড়ার কথা। কিন্তু সে শিডিউল মোটেই ঠিক থাকছে না।

স্বাভাবিকের তুলনায় দিনে এক-তৃতীয়াংশ এবং রাতে প্রায় অর্ধেক গতি কমিয়ে চলাচল করায় এমন শিডিউল বিপর্যয় বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা থেকে রাত ৯টা ১৫ মিনিটের সীমান্ত এক্সপ্রেস গত এক সপ্তাহ ধরে ছাড়ছে রাত ১২টার পর। একইভাবে চিলাহাটি থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার সীমান্ত এক্সপ্রেস ছাড়ছে রাত ১১ টার পর। রূপসা এক্সপ্রেস খুলনা থেকে সকাল সোয়া ৭ টার স্থলে ছাড়ছে দুপুর ১২ টার দিকে এবং চিলাহাটি থেকে সকাল সাড়ে ৮ টার ট্রেন ছাড়ছে দুপুর দেড়টায়।

পথে গতি কমিয়ে চলার কারণে গন্তব্যে পৌঁছাতে ট্রেনগুলো নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে বেশি লাগছে ৪ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত। একইভাবে পাকশী দিয়ে চলাচল করা একতা এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, চিলাহাটি এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেসসহ সব ট্রেন চলছে অস্বাভাবিক দেরিতে। ঈশ্বরদী থেকে ঢালারচর পর্যন্ত চলাচলকারী ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনও ধীরগতিতে চলাচল করায় সিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এতে প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজারো যাত্রীর।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সাধারণ নিয়মে এসব ট্রেন ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯৫ কিলোমিটার বেগে চলাচল করে। তবে রেলপথে নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় দিনে গতি কমিয়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার এবং রাতে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে চলাচল করছে ট্রেনগুলো। এ কারণে প্রতিটি ট্রেনই গন্তব্যে পৌঁছাতে বিলম্ব করছে।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) রেলওয়ের কন্ট্রোল রুম ও বিভাগীয় কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যেও ট্রেনগুলোর দেরিতে চলাচল করতে দেখা গেছে।

ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস এদিন সকাল ১০টার স্থলে দুপুর আড়াইটায়, ঢাকা থেকে সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটের নীলসাগর এক্সপ্রেস দুপুর দুইটায়, রংপুর এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে সকাল ৮টার পরিবর্তে দুপুর ১২টায় এবং ঢাকাগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস সকাল ৬টার পরিবর্তে ৬ সাড়ে ঘণ্টা দেরিতে বেলা সাড়ে ১২টায় স্টেশন ছেড়েছে।

আর ট্রেন ধীরগতিতে চলাচল ও শিডিউল বিপর্যয়ে প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাত হচ্ছে হাজারো যাত্রীদের। নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে ক্ষুব্ধ তারা।

ঈশ্বরদী স্টেশনে কথা হয় ঢাকাগামী যাত্রী তৌহিদুল ইসলামের সাথে। বলেন, গতি বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকা থেকে আসতে ট্রেন অনেক দেরী করে ছেড়েছে। আজ ঢাকা যাবার সময়ও ৫ ঘণ্টা ট্রেন দেরী। এভাবে আমাদের খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

আরেক যাত্রী নাকিব হোসেন বলেন, নাশকতার শঙ্কায় যদি ট্রেন দেরী করে চালাতে হয় তাহলে নিরাপত্তা বাড়ানো হোক ট্রেনে ও স্টেশনগুলোতে। সব ট্রেনের সকল যাত্রীদের কষ্ট দেওয়ার মানে হয় না।

ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের সুপারিন্টেন্ডেন্ট মহিবুল ইসলাম বলেন, রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় ট্রেন ধীরগতিতে চলাচলের নির্দেশনা দেওয়ায় ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাতে বিলম্ব করছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে শিডিউল ঠিক হয়ে যাবে।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ট্রেনে বেশ কয়েকটি নাশকতা হয়েছে। এসব নাশকতার শঙ্কায় সবগুলো ট্রেনকে ধীরগতিতে চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি ঠিক হলে শিডিউল বিপর্যয় কেটে যাবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ