1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন

পতনেও দুই খাতে দর বেড়েছে

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৬২ বার দেখা হয়েছে

দেশের পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকগুলো কমার মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সূচকের পতনেও দুই খাতের শেয়ারদর বেড়েছে। খাত দুটি হচ্ছেÑট্যানারি এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। গতকাল সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল ট্যানারি খাতের শেয়ারে। ফলে এ খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। দর বৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল খাদ্য খাতের শেয়ার। অন্যদিকে শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল আইটি খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ট্যানারি খাতের শেয়ারদর বেড়েছে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং ৩টির দর কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য খাতে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। খাতটিতে মোট ২১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৩টির দর বেড়েছে এবং ১০টির দর কমেছে ও বাকি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, সিমেন্ট, সিরামিক, মিউচুয়াল ফান্ড, ব্যাংক, প্রকোশলী এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় আইটি খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ২ দশমিক ৪০ শতাংশ। এরপরের স্থানে থাকা কাগজ ও মুদ্রণ খাতে শেয়ারদর কমেছে ২ দশমিক ৩০ শতাংশ। ১ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল জীবন বিমা ও পাট খাত। চতুর্থ স্থানে থাকা সাধারণ বিমা খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আইটি খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ওষুধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হওয়া ভ্রমণ ও অবকাশ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এদিন ডিএসইতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। ডিএসইতে ১৪২টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। ১৪টির বেড়েছে। অন্যদিকে সিএসইতে ৫২টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। ১০টির বেড়েছে।

এদিন ডিএসইতে ৩২৬ কোটি ৭২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২৮৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯ দশমিক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৮ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক ২ দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৯ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২১ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৯৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৪টি এবং কমেছে ১৪২টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৪১টির।

অন্যদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবসে ৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১০২টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে ১০টির, কমেছে ৫২টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৪০টির। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৩ দশমিক ৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৬০ দশমিক ২১ পয়েন্টে। সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ২১ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৪ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ১৪ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক ১ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩২৫ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩০৫ দশমিক ৯০ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৫ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৬০ দশমিক ৩১ পয়েন্টে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ