1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৫:০১ অপরাহ্ন

শীর্ষ পাঁচ খাতে ১১৫০ কোটি টাকা লেনদেনেও পতন

  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৬৪ বার দেখা হয়েছে
Dse

দেশের পুঁজিবাজার সপ্তাহের ব্যবধানে সূচকের পতনের মাধ্যমে গত সপ্তাহ পার করছে। একই সঙ্গে আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন কমেছে পুঁজিবাজারে। এর আগের সপ্তাহে সূচক কমলেও লেনদেন কিছুটা বেড়েছিল। সপ্তাহটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের প্রায় এক হাজার ১৫০ কোটি টাকা বা ৫৪ শতাংশ লেনদেন হয়েছে পাঁচ খাতে। এতে খাতগুলো লেনদেনের শীর্ষস্থানে উঠে আসে। তবে লেনদেনের শীর্ষে থেকেও আলোচ্য খাতগুলোয় পতন হয়েছে। ফলে পাঁচ খাতের শেয়ারদর কমেছে।

এদিকে গত সপ্তাহে ট্যানারি খাতের শেয়ারদর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে খাতটিতে শেয়ারদর অন্য খাতের তুলনায় বেশি বেড়েছে। এছাড়া দর বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপে তিন খাত ছাড়া সব খাতের শেয়ারদর কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর কমেছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে আগ্রহ বেশি থাকা ট্যানারি খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। এ খাতে গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ বা প্রায় ৮০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বস্ত্র খাতে গত সপ্তাহে দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ। এ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ বা ১০৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এছাড়া গত সপ্তাহে টেলিকমিউনিকেশন খাতের শেয়ারদর কমা বা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গত সপ্তাহে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে ভ্রমণ খাতে। এ খাতে গত সপ্তাহে ৫ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৬ শতাংশ বা ১২৭ কোটি টাকা। ৩ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ারদর কমে সেবা ও আবাসন খাত দ্বিতীয় স্থানে ছিল। খাতটিতে লেনদেন হয়েছে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩ দশমকি ৭০ শতাংশ বা ৭৮ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে থাকা সাধারণ বিমা খাতে শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৫০ শতাংশ বা ৫৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে লেনদেনের দিক থেকে প্রথম স্থানে রয়েছে আইটি খাত। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ বা ২৯১ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। কিন্তু খাতটিতে লেনদেন বেশি হলেও ২ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ বা ২৬০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। কিন্তু এ খাতে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। ১২ শতাংশ বা ২৫৩ কোটি টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ার। খাতটিতে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। চতুর্থ স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ৮ দশমিক ১০ শতাংশ বা ১৭১ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এ খাতে শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ বা ১৬৭ কোটি টাকা লেনদেনে পঞ্চম স্থানে থাকা কাগজ ও মুদ্রণ খাতে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১১১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ২৪৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৩৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৬৪৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ২৭টির, দর কমেছে ১৫১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯৭টি কোম্পানির। লেনদেন হয়নি ২৫টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহে ডিএসইর সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৭ দশমিক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৪৬ দশমিক ২১ পয়েন্টে। এছাড়া শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৫ দশমিক ২৭ পয়েন্ট এবং ডিএসই৩০ সূচক ১১ দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩৬৬ দশমিক ৬২ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ২২৪ দশমিক ২০ পয়েন্টে। এদিকে গেল সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে; যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ১৪ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও কমেছে দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট।

অপরদিকে গেল সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ২৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা বা ৪৪ দশমিক ১০ শতাংশ। সিএসইতে তালিকাভুক্ত ২৬১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৩০টির, দর কমেছে ১০৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১২৮টি কোম্পানির। লেনদেন হয়নি ২৫টি কোম্পানির শেয়ার। সপ্তাহে সিএসইর সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৫৭ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৪২৭ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ