1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০২:১২ অপরাহ্ন

সমতা লেদারের দুই কোটি টাকার সম্পদ যাচাই করতে পারেনি নিরীক্ষক

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৪৫ বার দেখা হয়েছে

সমতা লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রায় দুই কোটি টাকার কাঁচামাল, বাস্তব অগ্রগতি এবং সমাপ্ত পণ্যের ইনভেন্টরি সার্টিফিকেট প্রদান করলেও সেগুলো বাস্তবে যাচাই করতে পারেনি কোম্পানিটির নিরীক্ষক। একইসঙ্গে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ বেশি দেখানোর কারণে নিরীক্ষক কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনে আপত্তিও জানিয়েছে।

জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে এক কোটি ৬৪ লাখ ২২ হাজার ৫৩০ টাকার চলতি সম্পদ তথা কাঁচামাল, বাস্তব অগ্রগতি এবং সমাপ্ত পণ্যের অবস্থা বাস্তবে যাচাই করতে পারেনি সমতা লেদারের নিরীক্ষক। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক হিসাবমান-৭ অনুযায়ী কোম্পানিটির নগদ অর্থপ্রবাহের বিবৃতিটি সঠিকভাবে গণনা করা হয়নি। ফলে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো অতিরিক্ত দেখানো হয়েছে। এছাড়া কোম্পানিটি আলোচিত হিসাববছরে পণ্য রপ্তানি করলেও আন্তর্জাতিক হিসাবমান-২১-এর অনুচ্ছেদ ২৮ অনুযায়ী আর্থিক বিবৃতিতে বৈদেশিক মুদ্রার হারের পরিবর্তনের প্রভাব উল্লেখ করা হয়নি। এজন্য কোম্পানিটির নিরীক্ষক আপত্তি জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৩২ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আহ্বান জানিয়েছে। আর এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ছিল গত ১৫ ডিসেম্বর।

এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৩৯ পয়সা। তবে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। সে সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৯ পয়সা। আর ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য ছিল ১৪ টাকা ৩৯ পয়সা।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চামড়াশিল্প খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৯৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ চার কোটি ৫৩ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট এক কোটি তিন লাখ ২০ হাজার শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে ৩৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক চার দশমিক ২৪ শতাংশ এবং বাকি ৬১ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ বা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৬৯ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে মাত্র দুটি শেয়ার একবার হাতবদল হয়। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ও সর্বোচ্চ ৬৯ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৬৪ টাকা থেকে ৯৫ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ