1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৪ অপরাহ্ন

করোনায় শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত ৩টি কাজ করুন

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১
  • ২৬৩ বার দেখা হয়েছে
corona disease

করোনা রোগীর যেকোনো সময় শ্বাসকষ্ট হতে পারে। করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করে।

তবে করোনা রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে কীভাবে বুঝবেন তাকে হাসপাতালে নিতে হবে কি না? এজন্য রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দ্রুত ৩টি কাজ করুন।

প্রথম পদক্ষেপ

খেয়াল করে দেখুন, রোগীর শ্বাসকষ্ট ক্ষণস্থায়ী কি না। ক্ষণস্থায়ী শ্বাসকষ্ট অনেক কারণেই হতে পারে। যেমন- প্যানিক অ্যাটাক, এটি তেমন উদ্বেগের কারণ নয়। শ্বাসকষ্ট ক্ষণস্থায়ী কি না তা যাচাই করতে ৩টি কাজ করতে পারেন-

একটা ঠান্ডা জায়গায় যান। ঘর বন্ধ থাকলে জানালা-দরজা খুলে দিন।

তারপর ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে ছাড়ুন। এমনভাবে ছাড়বেন যেন আপনি একটা মোমবাতি নেভাচ্ছেন।

এই অনুশীলন করতে করতে একটি চেয়ারে সোজা হয়ে বসবেন। মেরুদণ্ড যেন টানটান থাকে। কাঁধ ছেড়ে দিন। হাঁটুর উপর ভর দিয়ে একটু সামনে ঝুঁকে আসুন।

এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যদি শ্বাসকষ্ট সেরে যায়, তাহলে তো ভালো। বিশেষ কোন চিন্তার কারণ নেই।

দ্বিতীয় পদক্ষেপ

এখন আপনি সিদ্ধান্ত নিন হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন আছে কি না। এক্ষেত্রেও ৩টি বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিন-

বাসায় পালস অক্সিমিটার থাকলে অক্সিজেনের পরিমাণ মেপে দেখুন। শ্বাসকষ্ট থাকুক বা না থাকুক, অক্সিজেনের পরিমাণ যদি ৯৪ এর কম থাকে তাহলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ গাইডলাইন (ভার্সন ৭.০) অনুযায়ী রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ ৯৪ এর নিচে নামলেই রোগীকে অক্সিজেন দেয়ার পরামর্শ আছে।

অক্সিজেনের পরিমাণ ৯৪ এর উপরে থাকলেও যদি শ্বাসকষ্ট হয় তাহলেও হাসপাতালে যেতে হবে।

আর বাসায় যদি পালস অক্সিমিটার না থাকে, তাহলে রোগীর শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

তৃতীয় পদক্ষেপ

রোগীকে হাসপাতালে নেয়ার আগ পর্যন্ত তার ফুসফুসের উপকারে উপুড় হয়ে শোয়ার ব্যবস্থা করুন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাসপাতালসহ দেশের করোনা ইউনিটগুলোতে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। যাকে বলা হয় প্রোনিং।

কীভাবে প্রোনিং করবেন?

প্রোনিং এর মোট ৪টি অবস্থান। অন্তত আধা ঘণ্টা করে প্রত্যেকটি অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। পারলে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত চালাবেন। তারপরে আবার জায়গা বদলাতে হবে।

অবস্থানগুলো হলো-

উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা।
ডান কাত হয়ে শোয়া।
বালিশে হেলান দিয়ে বসা।
বাম কাত হয়ে শোয়া।

কখন প্রোনিং করা যাবে না?

প্রোনিং সাধারণত একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে করা হয়। যিনি ঠিক করবেন রোগীর জন্য এটি উপযোগী কি না। কয়েকটি সমস্যা দেখা দিলে কখনও প্রোনিং করবেন না-

যদি রোগীর প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হয়। যেমন- মিনিটে শ্বাস নিচ্ছে ৩৫ বারের বেশি, বা শ্বাস নিতে অন্যান্য মাংসপেশি ব্যবহার করছে। দুই পাঁজরের মধ্যে চামড়া ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে, গলার মাংসপেশি ফুলে উঠছে ইত্যাদি।

রোগী খুব উত্তেজিত অবস্থায় আছে বা বিভ্রান্ত ও অসংলগ্ন আচরণ করছে।

রক্তচাপ ৯০ এর নিচে নেমে গেলে।

হৃদস্পন্দনের ছন্দে সমস্যা বা অ্যারিদমিয়া আছে।

মেরুদণ্ড স্থিতিশীল না, বুকে জখম আছে বা কিছুদিন আগে পেটে অপারেশন হয়েছে।

আরও কিছু ক্ষেত্রে প্রোনিংয়ের সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত-

৩ মাসের বেশি গর্ভবতী হলে
শরীরের ওজন অনেক বেশি হলে
ত্বকে ঘা থাকলে
মুখমণ্ডলে ক্ষত বা ব্যথা থাকলে
খিঁচুনি রোগ বা স্নায়ুতন্ত্রের অন্যান্য রোগ থাকলে

সূত্র: সহায়

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ