1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন

এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১
  • ১৮২ বার দেখা হয়েছে
Bsec-dse-cse

মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেও এশিয়ার পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ মুনাফা দিয়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার। বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এখন অনেকটা লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা মণিমুক্তার মতো। এইচএসবিসি ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।

তবে ব্যাংকটি বলেছে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে টাকার অভাব না থাকলেও বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় সুযোগ কম। এজন্য লাল ফিতার দৌরাত্ম্যকে দায়ি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ব্যাংকটি বলেছে, এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছে লন্ডনভিত্তিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ডন গ্লোবাল। গত মাসে তারা এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) প্রতিষ্ঠা করেছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম প্রভৃতি উদীয়মান দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার সুযোগ করে দেবে, যদিও ঐতিহাসিকভাবে এই বাজারে বিনিয়োগ করা কঠিন।

ডন গ্লোবালের এই বিনিয়োগ উইন্ডোর নাম এশিয়ান গ্রোথ কাবস ইটিএফ। এর মাধ্যমে মার্কিন বিনিয়োগকারীরা এই প্রথম বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন।

বাংলাদেশ নিয়ে এই আগ্রহের কারণ হলো, ২০২০ সালে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এশিয়ার সমপর্যায়ের বাজারগুলোর মধ্যে সর্বাধিক মুনাফা দিয়েছে—২১ দশমিক ৩ শতাংশ।

লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজের তথ্যানুসারে, এশিয়ার বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজার থেকে প্রাপ্ত ডিভিডেন্ডের হার নিম্নরূপ-পাকিস্তান ৫ দশমিক ২ শতাংশ, ভারত ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ৯ দশমিক ৫ শতাংশ, থাইল্যান্ড মাইনাস ৭ দশমিক ১ শতাংশ, ভিয়েতনাম ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ৫ দশমিক ২ শতাংশ, মালয়েশিয়া ৩ দশমিক ৫ শতাংশ, ফিলিপাইন মাইনাস ৮ দশমিক ৬ শতাংশ।

কাবস ইটিএফের ১৭ শতাংশই বাংলাদেশের বাজারের জন্য নির্দিষ্ট। বর্তমানে বাংলাদেশের আটটি কোম্পানিতে কাবস ইটিএফের বিনিয়োগ আছে। সেগুলো হলো ব্র্যাক ব্যাংক, গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, রেনাটা ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, সামিট পাওয়ার, ম্যারিকো ও বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই আটটি স্টকের মধ্যে গত বছর এক গ্রামীণফোন ছাড়া বাকি সব কোম্পানির শেয়ারের দাম অন্তত ২৫ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে বেক্সিমকো ও বিকনের শেয়ারের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে।

অধিকাংশ বিনিয়োগকারী এশিয়ার পুঁজিবাজার বলতে ভারত ও চীনের পুঁজিবাজার বুঝে থাকেন। তবে বাংলাদেশসহ উল্লিখিত এই পাঁচটি পুঁজিবাজারও প্রতিবছর বড় হচ্ছে। এই দেশগুলোতে মধ্যবিত্ত শ্রেণি বিকশিত হচ্ছে। জনসংখ্যার বড় একটি অংশ তরুণ। ফলে বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ ভালো বলেই মনে করছে এইচএসবিসি।

লাল ফিতার দৌরাত্ম্য বলতে যা বুঝিয়েছে এইচএসবিসি

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিদেশিদের বিনিয়োগ করতে কী কী করতে হয়, তা একবার দেখে নেওয়া যাক। প্রথমে তাঁদের এক কাস্টডিয়ান ব্যাংকের বিশেষ নগদ হিসাব ও বিদেশি মুদ্রার হিসাব খুলতে হয়।

দেশে রেমিট্যান্স আনতে বা দেশ থেকে রেমিট্যান্স বাইরে নিয়ে যেতেও তা করতে হয়। এরপর তো বিও হিসাব আছেই। ব্যাপারটা হলো, দেশের বাইরে থেকে একজন মানুষের পক্ষে এত কিছু করা ঠিক সহজ কম্ম নয়।

এইচএসবিসি বলছে, অথচ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের অনেকেই সময়-সময় বলছেন, এখন ব্যাংকনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে। বাজার চাঙা করতে বিদেশি বিনিয়োগের চেয়ে ভালো কিছু হয় না।

বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে, স্টক মার্কেটে তারল্য বাড়লে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথ সুগম হয়। তবে দেশ যত উন্নতির দিকে যায়, সেই বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্তির হার ধাপে ধাপে কমতে থাকে। সে জন্য বলা যায়, বাংলাদেশ এখন পুঁজিবাজার থেকে লাভবান হওয়ার মতো আদর্শ অবস্থানে।

কিন্তু দেশের পুঁজিবাজারে তারল্যের পরিমাণ সমপর্যায়ের দেশগুলোর তুলনায় অনেকটাই কম। দেশে যেখানে গড়ে দিনে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার সমমূল্যের শেয়ার হাতবদল হয়, ভিয়েতনামে তার পরিমাণ ৭১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ