1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ১১:৩২ অপরাহ্ন
হেডলাইন :
ঋণ আদায়ের জন্য নিলামে এস আলমের স্টিল মিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ভোজ্যতেল কারখানা রোমানা রউফ চৌধুরী ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান পুনর্নির্বাচিত ঢাকা-রিয়াদ রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু করল ইউএস-বাংলা সোনার দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ছাড়াল ১ লাখ ৭২ হাজার ১২৭৮ কোটি টাকার গম, সার ও এলএনজি কিনবে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্বশাসন নিয়ে যা জানালেন গভর্নর ঢাকায় আইশার ট্রাকস কাস্টমার মিট অ্যান্ড গ্রিট আয়োজন রানারের সাশ্রয়ী মূল্যে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত: অর্থ উপদেষ্টা চিকিৎসার জন্য আজ লন্ডন যাবেন খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো রাজধানীতে হলো “নিউ ইয়ার, নিউ মিশন’’ সম্মেলন

বিনিয়োগকারীদের চাপে বদলে গেল পুঁজিবাজারে চিত্র

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৩১৭ বার দেখা হয়েছে
stock-market-

টানা উত্থানের পর হঠাৎ করেই থমকে গেছে পুঁজিবাজার চিত্র। বদলে গেছে লেনদেন চিত্রও। সিংহভাগ শেয়ার ও ইউনিটের দর কমার পাশাপাশি কমছে সূচক। এ সঙ্গে কমছে বাজার মূলধনও। এতে বিনিয়োগ নিয়ে দোলাচলে পড়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তবে বাজার-সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানে বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন অধিকাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীসহ বড় বড় ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা। যার পরিপ্রেক্ষিতে বদলে গেছে বাজার চিত্র।

বাজারচিত্রে দেখা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি সূচকের বড় পতন হয়। এক দিনে ডিএসইর প্রধান সূচক হ্রাস পেয়ে পাঁচ হাজার ৯০৯ পয়েন্ট থেকে পাঁচ হাজার ৮৫০ পয়েন্টে চলে আসে। এর পরের কার্যদিবসেও বড় ধরনের পতন দেখা যায়। এদিন সূচক ৪৯ পয়েন্ট কমে চলে আসে পাঁচ হাজার ৮০১ পয়েন্টে। এরপরের তিন কার্যদিবস মিলে সূচক বাড়ে ৩৫ পয়েন্ট। পরের দুই কার্যদিবসে সূচক কমে যায় ৪৬ পয়েন্ট।

এদিকে বড় পতনের পর যে কয় দিন দিনের শেষে সূচকের সামান্য উত্থান দেখা গেছে, তার প্রতিটি দিনেই কমতে দেখা যায় অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দুচিন্তা আরও ভারি হচ্ছে। বিশেষ করে বহুজাতিকসহ বড় বড় মূলধনধারী কোম্পানির শেয়ারদর কমে যাওয়া তাদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে পুঁজিবাজার দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীল থাকবে কি না এ নিয়ে দোলাচলে রয়েছেন তারা।

তবে বাজার-সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দীর্ঘদিন বাজারচিত্র ভালো থাকায় সম্প্রতি এখান থেকে মুনাফা তুলেছেন সিংহভাগ বিনিয়োগকারীরা। ফলে সেল প্রেসার বা বিক্রয় চাপ বেড়ে যাওয়ায় বাজারের এ পরিস্থিতি হয়েছে। যারা শেয়ার বিক্রি করেছেন, এখন তারাই বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন; ফলে পরিস্থিতি কিছুটা থমকে আছে। তবে এ পরিস্থিতি বেশিদিন থাকবে না বলেও মত দেন তারা।

জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজারে টানা উত্থান বা টানা পতন কোনোটাই ভালো নয়। তবে আমি মনে করি, ‘এখন বাজার পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। বিএসইসি কর্তৃপক্ষও বাজার নিয়ে কাজ করছে। ফলে এখনই পুঁজিবাজার নিয়ে চিন্তার কিছু আছে বলে মনে হয় না।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ব্রোকারেজ হাউসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ঊর্ধ্বমুখী বাজারে শেয়ার বিক্রি করে এখন কম দরে শেয়ার ক্রয়ের জন্য ক্রেতার ভূমিকায় রয়েছেন। একই ধরনের আচরণ করছেন সুযোগসন্ধানী কিছু ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা। যে কারণে বাজারে প্রকৃতচিত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’

পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্টরা বলেন, এখন মানি মার্কেট থেকে পুঁজিবাজারের অবস্থা ভালো। পাশাপাশি এখনও মার্কেট বিনিয়োগযোগ্য অবস্থায় রয়েছে। এখানে কেউ বুঝেশুনে বিনিয়োগ করলে ভালো রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণে বাজারের সঙ্গে নতুন নতুন বিনিয়োগকারী যুক্ত হচ্ছেন। তাই এ পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজার থেকে প্রতারিত হওয়ার শঙ্কা কম।

বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। বেশ কয়েকটি দুর্বল কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) বাতিল করে দেয়া হয়েছে। অনিয়ম করার বেশকিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। কারসাজি রোধে সজাগ রয়েছে বিএসইসি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন ভূমিকার কারণে বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে।

তারা বলছেন, এখন যেহেতু পুঁজিবাজার পতন কাটিয়ে উঠছে তাই বিনিয়োগকারীদের সতর্কতার সঙ্গে বিনিয়োগ করতে হবে। হুজুগে বা গুজবে বিনিয়োগ করা উচিত হবে না। বিনিয়োগকারীদের উচিত যে কোনো পরিস্থিতি মানিয়ে নেয়া।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ