1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৬ পূর্বাহ্ন

রোববার ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করছে আমান ফিড

  • আপডেট সময় : রবিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২১
  • ২৭০ বার দেখা হয়েছে
Aman feed

আগামীকাল রোববার (২৪ জানুয়ারি) এবি ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করছে আমান ফিড কর্তৃপক্ষ। এরফলে ব্যাংকটির সাথে কোম্পানিটির দীর্ঘদিনের ঋণ জটিলতা সমাধান হতে চলেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমান ফিড লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আগামীকাল রোববার সকালে আমরা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করছি। কিস্তি পরিশোধের মাধ্যমে ব্যাংকটির সাথে আমাদের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আবারও স্বাভাবিকতায় ফিরে আসবে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আমান ফিড একটি মৌলভিত্তি সম্পন্ন ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। কোভিড -১৯ মন্দা সময়েও কোম্পানিটি ভালো মুনাফা করেছে। পাশাপাশি শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে কোম্পানির পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি বেড়েছে। কোম্পানিটি একই খাতের অন্য কোম্পানির তুলানায় বেশি মুনাফাও করছে। তবে সম্প্রতি কোম্পানিটি নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচার করার মাধ্যমে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করছে। এসব অপপ্রচারে কান না দেয়ার আহবান করেছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পরে নিয়মিত মুনাফা বেড়েছে আমান ফিডের। কোম্পানিটির ২০১৪-১৫ অর্থবছরে যেখানে ৩০ কোটি ৫৬ লাখ টাকার নিট মুনাফা করেছিল, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকায়। এরমধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা নিট মুনাফা করেছে কোম্পানিটি।

২০১৫ সালে তালিকাভুক্তির সময় কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিল ৫ টাকা ৭ পয়সা। যা পরবর্তীতে ২০১৫-১৬ করোনা মহামারির কারণে ৩ টাকা ৭৫ পয়সা ইপিএস হয়েছে। যা একই খাতের অন্য কোম্পানিগুলোর মুনাফার তুলনামুলুক বিচারে অনেক ভালো।

এদিকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর ১৯) কোম্পানিটির ২০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এ হিসেবে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা।

ভালো মুনাফার পাশাপাশি আমান ফিড নিয়মিত শেয়ারহোল্ডারদের ভালো লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। ২০১৫ সালে তালিকাভুক্তির প্রথম বছরে কোম্পানিটি ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়। এরপরে ২০১৬ সালে নগদ ৩০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৩০ শতাংশ এবং ২০১৮ সালেও ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়। তবে দেশের সার্বিক ব্যবসার মন্দাবস্থার কারণে ২০১৯ সালে ১২.৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করে। একই খাতের ন্যাশনাল ফিড কোম্পানি ২০১৯ সালে মাত্র ১ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। লভ্যাংশ বিবেচনায়ও আমান ফিড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অন্যান্য খাতের অন্য কোম্পানির চেয়ে তুলনামূলক বিচারে এগিয়ে রয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারির সময়েও আমান ফিড সরকারী কোন প্রনোদনা ব্যতিরেকেই নিয়মিত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। সকল পর্যায়ের কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের পূর্ণ বেতন প্রদান ও কোন কর্মকর্তা ছাটাই না করেই চলমান রেখেছে কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রম। এর ফলে কোম্পানি করোনা মহামারিতেও ভলো উদ্দীপনা নিয়ে ব্যবসা করছে বলে কোম্পনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ ব্যাপারে আমান ফিডের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার শংকর কুমার বলেন, আমাদের পরিচালনা পর্ষদ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ভবিষৎ পরিকল্পনায় অগ্রগামী আগামীতে খুব অল্প সময়েই এই খাতে “মার্কেট লিডার ” হিসাবে আবির্ভূত হবে। এমতাবস্থায় সকলকে সজাগ দৃষ্টি রেখে নেতিবাচক কোনো সংবাদে প্ররোচিত না হয়ে সরাসরি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার বিশেষ অনুরোধ জানায়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ