1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন

বাজার মূলধন বৃদ্ধির নেপথ্যে যেসব কোম্পানি

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৩১১ বার দেখা হয়েছে
world-share-market

দীর্ঘদিন প্রতীক্ষার পর সম্প্রতি ধারাবাহিক স্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। আস্থা সংকট আর করোনাভাইরাসের প্রকোপে নিস্তেজ হয়ে পড়া দেশের পুঁজিবাজার আবার চাঙা হয়ে উঠেছে। এর জের ধরে বাড়ছে সূচক এবং বাজার মূলধন।

গতকাল এক দিনে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এবং ফান্ডের বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা। তবে বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে তিনটি প্রতিষ্ঠান। এগুলো হলো গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা এবং ওয়াল্টন।

বর্তমানে ডিএসইর বাজার মূলধন পাঁচ লাখ কোটি টাকা ছঁইছুঁই করছে। সাম্প্রতিক সময়ের ধারাবাহিকতায় আজও যদি বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকে হলে আজই সেই মাইলফলক স্পর্শ করবে। গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এবং ফান্ডের বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৯৩ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। এর আগের কার্যদিবসে বাজার মূলধন ছিল চার লাখ ৮১ হাজার ১২৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক দিনের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি।

এদিকে বাজার মূলধন বৃদ্ধির নেপথ্যে ছিল ওয়াল্টন, গ্রামীণফোন এবং রবি। এই কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বৃদ্ধির কারণে গতকাল বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সবার শীর্ষে ছিল গ্রামীণফোন। গতকাল এ কোম্পানির বাজার মূলধন বেড়েছে চার হাজার কোটি টাকা বেশি। একইভাবে রবির বাজার মূলধন দাঁড়ায় প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। অন্য কোম্পানি ওয়াল্টনের বাজার মূলধন বৃদ্ধি পায় প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা।

সাম্প্রতিক বাজারচিত্র লক্ষ্য করলে দেখা যায়, প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা করে বাড়ছে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটদর। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, নতুন বছরে আট কার্যদিবসে ডিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি এ সময় ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়তে দেখা যায় ২৩৪ পয়েন্ট।

বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্টরা বলেন, বাজার দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর এখন ধারাবাহিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে। যে কারণে পুঁজিবাজারে প্রতিদিনই নতুন নতুন বিনিয়োগকারী যোগ হচ্ছে। ফলে লেনদেন ও সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি তালিকাভুক্ত সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদরও বাড়ছে, যার জের ধরে বাড়ছে বাজার মূলধন। বাজার ভালো থাকলে এটা স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়।

এ প্রসঙ্গে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, অনেক দিন পর বাজারে স্থিতিশীল পরিবেশ দেখা যাচ্ছে। যে কারণে বাজারের আসছেন বিনিয়োগকারীরা। তাছাড়া বেশিরভাগ শেয়ারই দীর্ঘদিন থেকে কম দরে অবস্থান করছে। এখন এসব শেয়ারদর বাড়ছে। যে কারণে বাড়ছে বাজার মূলধন। তিনি বলেন, বাজার এখনও অনুকূল অবস্থানে রয়েছে। তবে এর মধ্যেও বিনিয়োগের বেলায় সতর্ক থাকার বিকল্প নেই।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর পুঁজিবাজারে লেনদেন সচল থাকবে কি, থাকবে না তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এর মধ্যেও প্রায় বিনিয়োগকারী শূন্য অবস্থায় পুঁজিবাজারে লেনদেন চলতে থাকে। পরবর্তী সময়ে ২৬ মার্চ থেকে করোনা মহামারির কথা চিন্তা করে সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে পুঁজিবাজারেও লেনদেন বন্ধ রাখা হয়। দীর্ঘ ৬৬ দিন পর ৩১ মে থেকে আবারও লেনদেন শুরু হয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে গতি পেতে থাকে পুঁজিবাজার। পরবর্তী সময়ে দেখা যায় ধারাবাহিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ