1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৩:৫০ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার থেকে যুক্তরাজ্যে করোনার টিকাদান শুরু

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৩২৮ বার দেখা হয়েছে
vaccine-covid

জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে পৌঁছায় মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজারের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা। এরপর থেকেই অপেক্ষার প্রহর শুরু হয়। কবে থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে তা নিয়ে জল্পনা যেন শেষই হচ্ছিল না।

অবশেষে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) মঙ্গলবার থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করবে। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল মেডিক্যাল ডিরেক্টর প্রফেসর স্টিফেন পোয়িস বলেন, মঙ্গলবার থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরুর মাধ্যমে করোনা মহামারির সমাপ্তি হতে যাচ্ছে।

তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। কম সময়েই এই কর্মসূচি শেষ হবে না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। স্টিফেন বলেন, যাদের এই টিকা প্রয়োজন তাদের সবাইকে টিকা দিতে অনেক মাস সময় লেগে যেতে পারে।

করোনার সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে স্বাস্থ্যকর্মী, ৮০ বছরের বেশি বয়সী লোকজন ও কেয়ারহোমের কর্মীদের সবার আগে করোনার টিকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

ইংল্যান্ডে টিকা দেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০টি হাসপাতাল নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব হাসপাতালেই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং নর্দান আয়ারল্যান্ডেও মঙ্গলবার থেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।

দক্ষিণ লন্ডনের ক্রয়ডন হাসপাতালে রোববার প্রথমবারের মতো করোনা টিকা সরবরাহ করা হয়েছে। এরপর যুক্তরাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালেও টিকা পৌঁছে যাবে। জার্মান অংশীদার বায়োএনটেকের সঙ্গে যৌথভাবে এই টিকা তৈরি করেছে ফাইজার।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক করোনা টিকা প্রদানের এই কর্মসূচি শুরুর ঘটনাকে একটি ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। টিকাদান কর্মসূচিতে প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এনএইচএস-এর বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মেনে চলারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার বেলজিয়াম থেকে ব্রিটেনে এসে পৌঁছায় ফাইজারের তৈরি করোনার টিকা। এর আগে বুধবার মার্কিন সংস্থার তৈরি এই টিকা জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র দিয়েছিল যুক্তরাজ্য সরকার। তবে টিকা আসার পুরো প্রক্রিয়াটি প্রথমদিকে গোপন রাখে ব্রিটিশ সরকার।

স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, বেলজিয়াম থেকে ইউরো টানেল হয়ে ব্রিটেনে এসে পৌঁছায় ফাইজারের টিকা। কয়েকটি ট্রাকে করে এগুলো ব্রিটেনে আনা হয়েছে। সে সময় এগুলোর গায়ে কিছু লেখা ছিল না। এরপর ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড ও নর্দান আয়ারল্যান্ডের কিছু গোপন স্টোরেজে পাঠানো হয়।

এম-আরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি এই টিকা নিয়ে শুরুর দিকে তেমন সমর্থন পায়নি ফাইজার। এ সময় তাদের পাশে দাঁড়ায় জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক। ফাইজারের তুলনায় যদিও ছোট সংস্থা বায়োএনটেক। কিন্তু ব্রিটেনে তাদের তৈরি ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই রাতারাতি বিশ্বের প্রথম পাঁচশ ধনীর তালিকায় উঠে এসেছে বায়োএনটেকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা উগর সাহিনের নাম। এ সপ্তাহে সংস্থাটির শেয়ার দর বেড়েছে ৮ শতাংশ।

পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে ব্রিটেনই প্রথম কোনো দেশ যারা জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর এ বিষয়ে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। গুঞ্জন রয়েছে জানুয়ারি মাসে করোনার টিকা দেয়া শুরু হতে পারে কানাডাতেও। গত সপ্তাহেই কানাডার ভ্যাকসিন সরবরাহকারী দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন ড্যানি ফর্টিন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে ভ্যাকসিন চলে এলেই শুরু হয়ে যাবে টিকা দেয়ার প্রক্রিয়া।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ