1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩০ অপরাহ্ন

বিনিয়োগকারীরা প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা মূলধন ফিরে পেয়েছে

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০২০
  • ৩৬০ বার দেখা হয়েছে
A-DSE-CSE

দেশের শেয়ারবাজারে সর্বশেষ সপ্তাহে (১ -৫ নভেম্বর) উত্থানে শেষ হয়েছে বাজার লেনদেন। আগের সপ্তাহে পতন হলেও এ সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। সূচক ও লেনদেনের সঙ্গে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা মূলধন ফিরে পেয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, সপ্তাহজুড়ে উভয় শেয়ারবাজার মিলে বিনিয়োগকারীরা ১৩ হাজার ৯৮০ কোটি ৩২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা মূলধন ফিরেছে। এর মধ্যে ডিএসইতে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরু আগে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৯১ হাজার ২৫১ কোটি ৫০ লাখ ১২ হাজার টাকায়।

তাছাড়া সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪১ কোটি ২২ লাখ ৭৭ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বিনিয়োগকারীরা ৬ হাজার ৭৮৯ কোটি ৭২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা বা ১.৭৩ শতাংশ মূলধন ফিরে পেয়েছে।

আর সিএসইতে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরু আগে বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২২ হাজার ৭৯২ কোটি ৪৬ লাখ ২০ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিব লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৯ হাজার ৯৮৩ কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইর বিনিয়োগকারীরা ৭ হাজার ১৯০ কোটি ৬০ লাখ ২০ টাকা বা ২.২২ শতাংশ মূলধন ফিরে পেয়েছে।

বিগত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪ হাজার ২২২ কোটি ৪৫ লাখ ৩২ হাজার ২৪৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ২৬০ কোটি ১৬ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬২ টাকা বা ৬.৫৭ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৯৬২ কোটি ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৮৮৭ টাকার।

এদিকে ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহটিতে গড় লেনদেন হয়েছে ৮৪৪ কোটি ৪৯ লাখ ৬ হাজার ৪৫০ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৯৯০ কোটি ৫৭ লাখ ১৩ হাজার ৪৭২ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ১৪৬ কোটি ৮ লাখ ৭ হাজার ২১ টাকা কম হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৬.০২ পয়েন্ট বা ১.৯৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৪২.১২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২১.৬৭ পয়েন্ট বা ১.৯৭ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪৫.৫১ পয়েন্ট বা ২.৭০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১২০.৪৭ পয়েন্টে এবং ১৭২৫.৬৪ পয়েন্টে।

এছাড়া সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৬১টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭১টির বা ৪৭.৩৬ শতাংশের, কমেছে ১২১টির বা ৩৩.৫১ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৯টির বা ১৯.১১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১৮০ কোটি ৭৩ লাখ ২৮ হাজার ৮২৪ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১১৯ কোটি ২৬ লাখ ১৫ হাজার ৮০১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৬১ কোটি ৪৭ লাখ ১৩ হাজার ২৩ টাকা বা ৫১.৫৪ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৬৪.১৮ পয়েন্ট বা ২.৬৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৮৮.৩১ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২১৬.৭২ পয়েন্ট বা ২.৬০ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ১৯২.৩৯ পয়েন্ট বা ১.৬৯ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৩০.৬১ পয়েন্ট বা ৩.০৭ শতাংশ এবং সিএসআই ২৫.৫১ পয়েন্ট বা ২.৮৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮ হাজার ৫৩৬.৪৭ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৫৬২.৫৭ পয়েন্ট, ১০২৫.৯৩ পয়েন্ট এবং ৯১৩.৫৮ পয়েন্টে।

এছাড়া সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৫৩টির বা ৪৮.৮৮ শতাংশের দর বেড়েছে, ৯৮টির বা ৩১.৩০ শতাংশের কমেছে এবং ৬২টির বা ১৯.৮০ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ