1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৩ অপরাহ্ন

মুনাফা ও প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক ধারায় আমান ফিড

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২০
  • ৩৭২ বার দেখা হয়েছে
aman-feed

করোনভাইরাস মহামারীতে অভাবনীয় প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজারগুলি। এই আকস্মিক প্রাদুর্ভূত,কোভিড -১৯ মহামারী প্রায় প্রতিটি আক্রান্ত দেশের আর্থিক বাজার এবং সংস্থাগুলিতে ব্যাপক ঋণাত্মক প্রভাব ফেলছে । বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। ফেব্রুয়ারি থেকেই বাংলাদেশের শেয়ার বাজার করোনভাইরাস মহামারীর বিরূপ প্রভাব প্রতিফলিত করতে শুরু করেছে। কিছু শিল্প সংস্থা করোনার প্রভাবের বিরুদ্ধে ভালোভাবেই লড়াই করছে এবং তাদের নির্ভরযোগ্যতা এবং বাজার স্থায়িত্ব প্রমাণ করছে। দেশের সার্বিক ব্যবসা বাণিজ্যের এই মন্দা সময়েও ভালো মুনাফা ও প্রবৃদ্ধি করে চলেছে শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি আমান ফিড। পাশাপাশি শুরু থেকেই ধারাবাহিক ভাবে কোম্পানির পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ। কোম্পানিটি একই খাতের অন্য কোম্পানির তুলানায় বেশি মুনাফাও করছে। তবে সম্প্রতি কোম্পানিটি নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচার করার মাধ্যমে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করছে। এসব অপপ্রচারে কান না দেয়ার আহবান করেছেন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পরে নিয়মিত মুনাফা বেড়েছে আমান ফিডের। কোম্পানিটির ২০১৪-১৫ অর্থবছরে অর্জিত ৩০ কোটি ৫৬ লাখ টাকার নিট মুনাফা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেড়ে হয়েছে ৪৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এরমধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা নিট মুনাফা হয়েছিল।

এ কোম্পানিটির ২০১৫ সালে তালিকাভুক্তির সময় শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিল ৫ টাকা ৭ পয়সা। যা পরবর্তীতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪ টাকা ৪৮ পয়সা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪ টাকা ৫৪ পয়সা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪ টাকা ৬৩ পয়সা এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩ টাকা ৭৫ পয়সা ইপিএস হয়েছে। যা একই খাতের অন্য কোম্পানিগুলোর মুনাফার তুলনামুলুক বিচারে অনেক ভালো।

এদিকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর ১৯) কোম্পানিটির ২০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এ হিসেবে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা।

ভালো মুনাফার পাশাপাশি আমান ফিড নিয়মিত শেয়ারহোল্ডারদের উল্লেখযোগ্য লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। এ কোম্পানিটি ২০১৫ সালে তালিকাভুক্তির প্রথম বছরেই ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়। এরপরে ২০১৬ সালে নগদ ৩০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৩০ শতাংশ এবং ২০১৮ সালেও ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়। তবে দেশের সার্বিক ব্যবসার মন্দাবস্থার কারণে ২০১৯ সালে ১২.৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করে। একই খাতের ন্যাশনাল ফিড কোম্পানি ২০১৯ সালে মাত্র ১ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। লভ্যাংশ বিবেচনায়ও আমান ফিড পুঁজি বাজারে তালিকাভুক্ত অন্যান্য খাতের অন্য কোম্পানির চেয়ে তুলনামূলক বিচারে এগিয়ে আছে।

আমান ফিডের কোম্পানি সচিব শরিফুল ইসলাম বলেন, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর থেকে আমান ফিড বিনিয়োগকারীদের ভালো মুনাফা দিয়ে আসছে। ভবিষ্যতেও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় আমান ফিড সচেষ্ট থাকবে। কোন বিশেষ গোষ্ঠীর ইন্ধনের গুজবে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানান তিনি।

সম্প্রতি এবি ব্যাংকের সঙ্গে আমান ফিডের ভুল বোঝাবুঝির কারণে উদ্ভূত সাময়িক সমস্যা কে পুঁজি করে নিতান্তই নিজেদের হীন স্বার্থে একটি মহল কৌশলগত বিভিন্ন অপপ্রচার চালাতে শুরু করে। তবে সেই সমস্যা এখন সমাধানের দিকে। এ প্রসঙ্গে আমান গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো: রবিউল হক জানান, আমান ফিডের ব্যবসা চলমান রেখে এবি ব্যংকের ঋণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি ইতোমধ্যে একটি সমঝোতায় এসে দাড়িয়েছে। তাই কোন মহলের মনগড়া মিথ্যা তথ্যে বিশ্বাস না করতে বিনিয়োগকারীদের আহবান জানান তিনি।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাজার চাহিদা ও গুণগত মানের বিষয়টি চিন্তা করে পরিকল্পনা ঠিক করছে আমান ফিড। শুরু থেকেই মানুষকে সর্বোচ্চ মানের পণ্য ও সেবা দেয়ার পরিকল্পনাটা খুব দৃঢ় রেখেছে। সময়ের চাহিদার আলোকে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সত্ভাবে কাজ করার ফলে কখনো আমান ফিডকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ফলশ্রুতিতে কোম্পানিটি বাজার নেতৃত্বে অংশীদারিত্ব করে আসছে।

উল্লেখ্য আমান ফিড করোনা মহামারির সময়ে সরকারী কোন প্রনোদনা ব্যতিরেকেই নিয়মিত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। সকল পর্যায়ের কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের পূর্ণ বেতন প্রদান ও কোন কর্মকর্তা ছাটাই না করেই চলমান রেখেছে কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রম। এর ফলে কোম্পানি করোনা মহামারিতেও ভলো উদ্দীপনা নিয়ে ব্যবসা করছে বলে কোম্পনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ ব্যাপারে আমান ফিডের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার শংকর কুমার বলেন আমাদের পরিচালনা পর্ষদ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ভবিষৎ পরিকল্পনায় অগ্রগামী , আগামীতে খুব অল্প সময়েই আমানফিড এই খাতে “মার্কেট লিডার ” হিসাবে আবির্ভূত হবে। এমতাবস্থায় সকল কে সজাগ দৃষ্টি রেখে নেতিবাচক কোনো সংবাদে কোনো ভাবে প্ররোচিত না হয়ে সরাসরি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার বিশেষ অনুরোধ জানান।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ