1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন

ইতিহাসের সবচেয়ে কম মুনাফা নিয়ে আইপিও অনুমোদনের অপেক্ষায় রবি

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৪০৭ বার দেখা হয়েছে
Robi


দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বা ৪ পয়সার শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) নিয়ে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটা। যে কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোনের আগে ব্যবসা শুরু করলেও মাঝে মধ্যেই লোকসান গুণে। এরমধ্য দিয়েই শেয়ারবাজারের ইতিহাসে আইপিওতে সর্বোচ্চ শেয়ার ইস্যু করবে রবি।

এদিকে ব্যবসায় দূর্বল এ কোম্পানিটিকে শেয়ারবাজারে আনতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এরইমধ্যে পাবলিক ইস্যু রুলসের কয়েকটি শর্ত পরিপালন থেকে অব্যাহতিও দিয়েছে। এরমধ্যে কোম্পানির কর্মচারীদের মধ্যে আইপিওতে শেয়ার ইস্যুর সুযোগ রাখা অন্যতম।

শেয়ারবাজার থেকে টাকা সংগ্রহের অপেক্ষায় থাকা মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটার ২০১৯ সালে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে মাত্র ৪ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) রয়েছে ১২ টাকা ৬৪ পয়সার। এই অবস্থার মধ্য দিয়ে কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে বড় অর্থ সংগ্রহের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।

শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য রবির আবেদন করা নিরীক্ষত খসড়া প্রসপেক্টাস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

রবি আজিয়াটা ১৯৯৫ সালের ২২ অক্টোবর গঠিত হয় এবং একইদিনে ব্যবসা শুরু করে। আর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোন গঠিত হয় ১৯৯৬ সালের ১০ অক্টোবর। এই ১ বছর পরে গঠিত হয়েও গ্রামীণফোন এখন বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা মুনাফা করে।

আর রবি আজিয়াটা এখনো লোকসান থেকে মুনাফা করতে লড়াই করে যাচ্ছে। অথচ গ্রামীণফোনের থেকে রবির কয়েকগুণ বেশি পরিশোধিত মূলধন রয়েছে।

এদিকে খসড়া প্রসপেক্টাস অনুযায়ি, ৪ হাজার ৭১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের রবির ২০১৯ সালে টার্নওভার হয়েছে ৭ হাজার ৪৮১ কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এই টার্নওভার থেকে সব ব্যয় শেষে নিট মুনাফা হয়েছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। যা শেয়ারপ্রতি হিসেবে মাত্র ৪ পয়সা।

২০১৮ সালে রবির ইপিএস হয়েছিল ৪৬ পয়সা। তবে ২০১৭ সালে শেয়ারপ্রতি ২ পয়সা ও ২০১৬ সালে ১ টাকা ৮৮ পয়সা লোকসান হয়েছিল।

অপরদিকে শেয়ারবাজারে একমাত্র মোবাইল অপারেটর কোম্পানি হিসেবে ২০০৯ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া গ্রামীণফোনের বর্তমানে পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এই মূলধনের কোম্পানিটির ২০১৯ সালে শেয়ারপ্রতি ২৫ টাকা ৫৬ পয়সা হিসাবে নিট আয় হয়েছে ৩ হাজার ৪৫১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদ রয়েছে ২৮ টাক ৪০ পয়সা।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি রবি আজিয়াটার শেয়ারবাজারে আসার কথা ঘোষনা দেয় মূল মালিক মালয়েশিয়ার কোম্পানি আজিয়াটা মালয়েশিয়া। এরপর ২ মার্চ বিএসইসিতে কোম্পানিটির পক্ষে ইস্যু ম্যানেজার আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস আইপিও’র জন্য আবেদন করেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, অভিহিত মূল্যে অর্থাৎ প্রতিটি ১০ টাকায় ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করবে রবি। তবে বর্তমানে রিং সাইনের আইপিওতে ১৫ কোটি শেয়ার ইস্যু সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে।

রবির নতুন শেয়ারের মধ্যে ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকার শেয়ার আইপিওতে ইস্যু করা করা হবে বিনিয়োগকারিদের জন্য। বাকি ১৩৬ কোটি ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৪০ টাকার শেয়ার ইস্যু করা হবে কোম্পানির কর্মচারী ও পরিচালকদের জন্য।

ব্যবসায় মন্দার কারন হিসেবে রবি আজিয়াটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০১৯ সালে অতিরিক্ত কর আরোপের কারনে ৯৫ শতাংশ সঞ্চিতি গঠন করতে হয়েছে। ওই বছরে টার্নওভার ট্যাক্স ০.৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ শতাংশ করায় এমনটি করতে হয়েছে। আমরা আইপিও’র শর্ত হিসেবে এই টার্নওভার ট্যাক্স কমিয়ে অন্যান্যদের সমান করার কথা বলেছি।

এদিকে রবির কর সঞ্চিতি পুরোটা বাদ দিলেও ২০১৯ সালে শেয়ারপ্রতি আয় হয় ৮০ পয়সা। দেখা গেছে, কোম্পানিটির ২০১৯ সালে করপূর্ব আয় হয়েছিল ৩৭৮ কোটি ৯০ লাখ ৭ হাজার টাকা। যা শেয়ারপ্রতি হিসেবে আয় হয় ৮০ পয়সা। আর স্বাভাবিক কর হার ৪৫ শতাংশ (টার্নওভার ট্যাক্স ছাড়াই) বিবেচনায় আয় হয় ২০৮ কোটি ৩৯ লাখ ৫৩ হাজার টাকা বা ইপিএস ৪৪ পয়সা। আর তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোনের ন্যায় ৪০ শতাংশ কর হার বিবেচনায় আয় হয় ২২৭ কোটি ৩৪ লাখ ৪ হাজার টাকা বা ইপিএস ৪৮ পয়সা।

কোম্পানিটির বর্তমানে ৪ হাজার ৭১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। এই মূলধনের কোম্পানিটির নিট সম্পদ রয়েছে ৫ হাজার ৯৫৮ কোটি ৮৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকার। এ হিসাবে কোম্পানিটিতে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) দাড়িঁয়েছে ১২.৬৪ টাকায়।

এদিকে শেয়ারবাজারে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংকের। এ ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২ হাজার ৯২০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। তবে রবি তালিকাভুক্ত হলে সর্বোচ্চ পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি হবে। এ কোম্পানির বর্তমানের ৪ হাজার ৭১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকাসহ আইপিও পরবর্তীতে বেড়ে দাঁড়াবে ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫০ টাকা। যা হবে গ্রামীণফোনের প্রায় ৪ গুণ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ