1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন

ঈদে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪
  • ৪৬ বার দেখা হয়েছে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : ঈদ যাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা করছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের পর যানবাহন যখন এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত দুই লেনে প্রবেশ করে, তখন গতি কমে যাওয়া, আবারও এই অংশে যানবাহন বিকল ও সড়ক দুর্ঘটনার কারণে যানজট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এছাড়াও বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ে ধীর গতি, অপরদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু দুই লেনের হওয়ায় বাড়তি চাপে সেখানেও যানজটের উৎপত্তি হতে পারে। তবে যানজট নিরসনে প্রস্তুতি নিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ ও জেলা পুলিশ।

গত ঈদযাত্রায় ৪ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর ৫৩টি গাড়ি বিকল ও ৮৩টি দুর্ঘটনা ঘটে। ফলে ঈদ যাত্রার শেষ দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

এবারের ঈদুল আজহায়ও দুর্ঘটনা ও বিকল যানবাহনের কারণে যানজটের আশঙ্কা করছেন যাত্রী ও চালকরা। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলপ্লাজা পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন কাজ এখনও শেষ না হওয়ায় ভোগান্তি রয়েছে। মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ শেষ না হওয়ায় ওই সাড়ে ১৩ কিলোমিটার অংশে থ্রি-হুইলার দাপটের সঙ্গে চলাচল করছে। মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজে ধীরগতির কারণে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বার বার একমুখী করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতু সূত্রে জানা যায়, স্বাভাবিক সময়ে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন পারাপার হলেও ঈদকে কেন্দ্র করে ৫০ হাজারের অধিক যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হয়। স্বাভাবিক সময়ে সেতুর উভয় প্রান্তে ১২টি বুথে টোল আদায় করা হলেও ঈদকে কেন্দ্র করে ১৮ বুথে টোল আদায় করা হয়। এছাড়াও সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে কালিহাতীর এলেঙ্গা থেকে নলকা সেতু পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্র জানায়, শনিবার (৮ জুন) রাত ১২টা থেকে রোববার (১১ জুন) দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৫ হাজার ২৬৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৪০ লাখ ১৪ হাজার ৫০ টাকা। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব অর্থাৎ টাঙ্গাইল অংশে ১২ হাজার ৪৭৫টি যানবাহন পারাপারের বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ ৩০ হাজার ৬০০ টাকা। সেতুর পশ্চিম অর্থাৎ সিরাজগঞ্জের অংশে ১২ হাজার ৭৯২টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ ৮৩ হাজার ৪৫০ টাকা।

উত্তরবঙ্গ থেকে আসা কয়েকজন চালক বলেন, গত ঈদেও প্রায় ১৬ ঘণ্টা যানজট ছিল। আগামী ঈদেও নানা কারণে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে বৃষ্টি, চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো অন্যতম। এছাড়া এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত সড়ক দুই লেন ছাড়াও বঙ্গবন্ধু সেতুও দুই লেনের। যেখানে যানবাহনের অধিক চাপ নিতে পারে না।

সিরাজগঞ্জ থেকে আসা পিকআপ চালক রাশেদুল হাসান বলেন, পুলিশ যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে তাহলে যানজট কম হবে। তাই ঈদকে কেন্দ্র করে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানান তিনি।

মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোমেন লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মিজান সারোয়ার জানান, সাড়ে ১৩ কিলোমিটার মহাসড়কের মধ্যে ঈদুল ফিতরে চার কিলোমিটার ব্যবহারের উপযোগী করে দেওয়া হয়। এবারের ঈদে নতুন করে আরও দুই কিলোমিটারের কাজ শেষ করা হয়েছে। এবারের ঈদে ঘরমুখী মানুষ খুব একটা সমস্যায় পড়বেন না বলে মনে করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নিবার্হী প্রকৌশলী আাহসানুল কবির পাভেল জানান, সেতু দিয়ে যত ফিটনেসবিহীন যানবাহন কম আসবে, ততই দুর্ঘটনা ও যানবাহন বিকল কম হবে। এতে যানজটের আশঙ্কাও কম থাকবে। সেতুর পাশে যত যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকবে, ততই যানজটের আশঙ্কা থাকে। এজন্য ভাঙতি টাকা দিয়ে টোল পরিশোধ করতে চালকদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে সেতুর টোল পরিশোধ করতে ভাঙতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। তাছাড়া ঈদুল ফিতরের ন্যায় এবারও টোলবুথ বাড়ানো এবং মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা টোলবুথ স্থাপন করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে অন্য সময়ের চেয়ে মহাসড়কে পশুবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে সেতু দিয়ে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, ঈদুল আজহায় মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে কয়েকটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ বছর বর্ষাকাল শুরু হয়েছে। পশুবাহী ট্রাক ইতোমধ্যে চলাচল শুরু করেছে। এরমধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে মৌসুমী ফলের ট্রাকভর্তি গাড়ি ঢাকার দিকে যাচ্ছে। মহাসড়কে পরিবহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে জেলা পুলিশের সাত শতাধিক সদস্য পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাতে পুলিশ মাঠে থাকে, সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ