1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪০ অপরাহ্ন

সিকিম সীমান্তের কাছে জে-২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করলো চীন

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১ জুন, ২০২৪
  • ৯৮ বার দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের সীমান্তে প্রায়ই সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে দেখা যায় চীনকে। তবে হঠাৎ করেই সিকিম সীমান্তের কাছেই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে বেইজিং। যুদ্ধবিমানগুলো জে-২০ মডেলের। চীনের বহরের সবচেয়ে আধুনিক স্টিলথ যুদ্ধবিমান এগুলো।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ভারতের সিকিম সীমান্ত থেকে মাত্র দেড়শ কিলোমিটার দূরে তিব্বতের শিগাৎসে বিমান ঘাঁটিতে ৬টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান জে-২০ স্টিলথ ফাইটার মোতায়েন করেছে চীন।

শিগাৎসে তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এই শহরের বিমানঘাঁটিটি সামরিক ও বেসামরিক কাজে ব্যবহার করে চীন। সাধারণত সারাবছরই চীনের জে-১০ এবং কেজে-৫০০ মডেলের বিমান থাকে এই ঘাঁটিতে। তবে উপগ্রহ চিত্রে এই বিমানঘাঁটিতে ছয়টি জে-২০ যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে- যা এই ঘাঁটিতে প্রথম।

ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণকারী সংস্থা অল সোর্স অ্যানালাইসিস গত ২৭ মে কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা ছবি প্রকাশ করে। ওই ছবিতেই সিকিমে ভারত সীমান্তের অদূরে শিগাৎসে বিমানঘাঁটিতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান মোতায়েন থাকতে দেখা যায়।

শিগাৎসে বিমানবন্দরটির উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ৪০৮ ফুট। বিমানঘাঁটিতে চীনের নতুন মোতায়েন করা জে-২০ যুদ্ধবিমানের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় দুই হাজার ৬৮ কিলোমিটার।

জে-২০ যুদ্ধবিমান মাইটি ড্রাগন নামেও পরিচিত। বেশ কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, চীন ইতোমধ্যেই বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২৫০টির মতো জে-২০ মোতায়েন করেছে। বিমানবাহিনীতে এই যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে চীন বিশ্বের তৃতীয় দেশ হয়েছে যাদের ‘স্টিলথ’ যুদ্ধবিমান আছে, আর এই স্টিলথ যুদ্ধবিমানের রয়েছে রাডার ফাঁকি দেয়ার বিশেষ দক্ষতা। চীনের সবচেয়ে উন্নত এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম এই যুদ্ধবিমান। এর মধ্যে রয়েছে পিএল-১৫ দূরপাল্লার এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র, যা ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম বলে ধারণা করা হয়।

এনডিটিভির প্রতিবেদন বলছে, চীনকে মোকাবিলার জন্য ভারত মোতায়েন করেছে ফ্রান্সে নির্মিত ৩৬টি রাফায়েল যুদ্ধবিমানের বহর। এর মধ্যে আটটি রাফায়েল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর (ইউএসএএফ) সাথে বিমানযুদ্ধ অনুশীলনের জন্য আলাস্কায় রয়েছে।

প্রসঙ্গত, যেখানে চীনা জে-২০ যুদ্ধবিমানগুলোকে দেখা গেছে সেই স্থানটি পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা থেকে ২৯০ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত। আর হাসিমারাতেই ভারত তার ১৬টি রাফায়েলের দ্বিতীয় স্কোয়াড্রন স্থাপন করেছে।

তিব্বতে চীনা জে-২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০২০ এবং ২০২৩ সালের মধ্যে চীনের হোটান প্রিফেকচারের জিনজিয়াংয়ে যুদ্ধবিমানগুলো দেখা গিয়েছিল। তবে এবারই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক জে-২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অল সোর্স অ্যানালাইসিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিম টাকের মতে, চীন গত পাঁচ বছরে তিব্বত এবং ভারতের নিকটবর্তী অন্যান্য অঞ্চলে ক্রমাগতভাবে তার আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ছিল নতুন বিমান ঘাঁটি নির্মাণ এবং বিদ্যমান বিমান ঘাঁটির অবকাঠামোগত উন্নত করা। চীন অন্তত অস্থায়ী ভিত্তিতে এই সীমান্ত অঞ্চলে জে-২০ এবং এইচ-৬ এর মতো পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম বোমারু বিমান মোতায়েন শুরু করেছে।

চীনকে মোকাবিলায় ভারত তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও যথেষ্ট শক্তিশালী করেছে।

ভারতীয় বিমান বাহিনী জে-২০ মোতায়েনের তাৎপর্য সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ