1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন

‘মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছিলাম’

  • আপডেট সময় : রবিবার, ৫ মে, ২০২৪
  • ১৪ বার দেখা হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক : ভারতীয় সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। কাজের কারণে যেমন প্রশংসা কুড়িয়েছেন, তেমনি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও অনেকবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন। অনেক নায়িকার সঙ্গে তার নাম জড়িয়েছে। এসব নিয়ে অনেক তথ্যই জানেন তার ভক্তরা।

ভারতীয় বাংলা সিনেমার গুণী অভিনেত্রী মমতা শঙ্করের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মিঠুন। বিয়ের দিন-তারিখও চূড়ান্ত হয়েছিল। ছাপানো হয়েছিল বিয়ের কার্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাতপাকে বাঁধা পড়েননি এই যুগল। মিঠুনের সঙ্গে যখন সম্পর্কে জড়ান মমতা, তখন চন্দ্রোদয়ের (মমতার বর্তমান স্বামী) সম্পর্কে ছিলেন। তারপরও কীভাবে মমতা-মিঠুনের প্রেম হয়, কী কারণে সেই প্রেম-বিয়ে ভেঙে যায়, এতদিন তা আড়ালেই ছিল! অবশেষে এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন মমতা শঙ্কর।

মিঠুনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর স্মৃতিচারণ করে মমতা শঙ্কর বলেন, “আমি মূলত, প্রথম বাপ্পিদার (চন্দ্রোদয়) সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম। বাপ্পিদার সঙ্গে যখন থেকে পরিচয়, তখন থেকে প্রচুর বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে। কিন্তু কেউ কোনোদিন বাপ্পিদার কাছ থেকে আমাকে টলাতে পারেননি। কিন্তু ‘মৃগয়া’ সিনেমা করতে গিয়ে মিঠুনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। এটা যে কীভাবে কী হয়ে গিয়েছিল, তা ঠিক বুঝতেই পারছিলাম না। নিজেকে শক্তভাবে ধরে রেখেছিলাম। বাপ্পিদার প্রতি কমিটেড ছিলাম। তারপরও কখন যে কীভাবে হয়ে গেল বুঝতেই পারিনি।”

মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে বিয়েটা কেন ভেঙে গিয়েছিল? এ প্রশ্নের জবাবে মমতা শঙ্কর বলেন, “মিঠুনের তখন স্ট্রাগল পিরিয়ড চলছিল। ক্যারিয়ারটা কেবল শুরু করেছে। সবেমাত্র সিনেমার কাজ পেতে শুরু করেছে। ওই সময়ে বিয়ের দিন-তারিখ চূড়ান্ত হওয়ার পর মিঠুন বলল, ‘বিয়েটা আরো দুটো বছর পিছিয়ে নিই। বিয়ে ভাঙার পর আমি প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছিলাম, সাংঘাতিক ট্রমার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম।”

মিঠুন চক্রবর্তী ‘না’ করাতে বিষয়টি কি আপনার ইগোতে আঘাত করে? জবাবে মমতা শঙ্কর বলেন, ‘ঠিক তা না। আমাদের দুই পরিবারই চাচ্ছিলেন বিয়েটা হয়ে যাক। কিন্তু আমি মিঠুনের বিষয়টিও বুঝতে পারছিলাম। কারণ ওর সবে ক্যারিয়ারটা উঠছিল। সিনেমায় কাজের প্রস্তাব পাচ্ছিল। যার কারণে ওর আপত্তি ছিল।’

তা হলে বিয়ের তারিখ কেন চূড়ান্ত করেছিলেন? জবাবে মমতা শঙ্কর বলেন, ‘আমরা যখন আলাপআলোচনা করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই, তখন মিঠুনের এই পরিস্থিতি ছিল না। আমাদের মনে হয়েছিল, এই সময়ে বিয়েটা করা যায়। কিন্তু বিয়ের আগে পরিস্থিতি বদলে যায়। মিঠুনের ক্যারিয়ার হ্যাম্পার হতো। এ ঘটনার পর আমার পরিবার চাচ্ছিল, যাতে কোনো গসিপ না হয়। এখন চর্চায় থাকার জন্য গসিপ তৈরি করা হয়, তখন বিষয়টা এমন ছিল না। আসলে, আমি বলব, যেটা হয়েছে সেটা ভালোই হয়েছে। আমি না বাপ্পিদাকে আরো ভালোভাবে চিনতে পেরেছি।’

বলিউডে কাজ করতে গিয়ে কয়েকজন অভিনেত্রীর সঙ্গে মিঠুনের সম্পর্কে জড়ানোর গুঞ্জন শোনা যায়। আর এ কারণে নাকি আপনি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন? জবাবে মমতা শঙ্কর বলেন, ‘সেরকম আমিও শুনেছি। মিঠুন আমাকে বলেছিল। এসব ক্যারিয়ারের জন্য করেছিল মিঠুন। কিন্তু বলিউডে কারো সঙ্গে মিঠুনের সেরকম কোনো সম্পর্ক ছিল না।’

মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর মমতা চন্দ্রোদয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। আর মিঠুনও হেলেনাকে বিয়ে করে ফেলেন। এরপর দীর্ঘদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। কিন্তু এখন মিঠুন-মমতার মাঝে খুবই ভালো সম্পর্ক। শুধু তাই নয়, দুই পরিবারের সদস্যদের মাঝেও খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।

দীর্ঘ ৪৭ বছর পর ফের একসঙ্গে কাজ করেছেন মিঠুন-মমতা। ‘প্রজাপতি’ সিনেমায় তাদের একসঙ্গে দেখা যায়। ২০২২ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ