1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন

ঢাকায় যাচ্ছে শেরপুর তাঁত পল্লীর জামদানি শাড়ি

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪
  • ২৫ বার দেখা হয়েছে

শেরপুর প্রতিনিধি : ঈদকে ঘিরে সরব হয়ে উঠেছে শেরপুর সদর ও শ্রীবরদীর ২২টি তাঁত পল্লী। ঢাকায় যাচ্ছে এখানে তৈরি জামদানি শাড়ি। সঙ্গত কারণে এসব পল্লীতে তাঁত মালিক ও কারিগররা ভোর থেকে রাত গভীর পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে কারিগর সংকটে কাঙ্খিত উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছেন।

শেরপুরের তৈরি এসব শাড়ির দেশে ও বিদেশে রয়েছে প্রচুর চাহিদা। অপরদিকে, জেলা ক্ষুদ্র ও কুুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) কর্মকর্তা বলছেন, জামদানি শাড়ি জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। তাঁত শিল্পকে আরো গতিশীল করতে কারিগরদের জন্য রয়েছে প্রশিক্ষণসহ ঋণ সহায়তার ব্যবস্থা।

সরেজমিনে জেলার শ্রীবরদীর উপজেলার ভাটিলংগড়পাড়া গ্রামে এনামূল হকের গড়ে তোলা তাঁত পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, টিনসেড কাঁচা ঘরে ৫টি মেশিন দিয়ে গড়ে তুলেছেন তাঁত কারখানা। তৈরি করছেন জামদানি শাড়ি। এখন তার কারখানায় কাজ করছেন ১০ জন শ্রমিক।

তিনি জানান, দারিদ্র্যতার কারণে ৮ বছর আগে পড়ালেখা ছেড়ে নরসিংদীর তাঁত পল্লীতে কাজ করেন। এ সময় শিখেন তাঁত পল্লীর যাবতীয় কাজ। দুই বছর আগে তার সাথে থাকা আরো ৩ জনকে নিয়ে বাড়ি এসে শুরু করেন কারখানা। অগ্রিম অর্ডারের মাধ্যমে ঢাকা-নরসিংদীর মহাজনদের কাছে ৫ হাজার থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের জামদানি শাড়ি বিক্রি করছেন তিনি। কখনো দেশের বাইরে থেকেও আসছে অর্ডার। ঘরে বসেই এখন এনামূল মাসে আয় করছেন ৩০ হতে ৪০ হাজার টাকা।

এনামূল হক বলেন, অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজান মাসে জামদানি শাড়ির চাহিদা বেশি। আর্থিক সংকটে নির্মাণ করতে পারছি না পাকা ঘর। কাঁচা ঘরে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে গ্রামে ৫০টি মেশিন বসাতে চাই। এই গ্রামে অনেক বেকার আছে তাদের কর্মসংস্থান করতে চাই।

খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া বলেন, গ্রামাঞ্চলের তাঁত পল্লীগুলোতে পৃষ্ঠপোষকতা ও সার্বিক সহায়তা দিলে গড়ে উঠতে পারে বৃহত্তর তাঁত শিল্প নগরী। কাজের সুযোগ হতে পারে শত শত নারী পুরুষের। এই শিল্পের মাধ্যমে এলাকায় অনেক বেকার সমস্যার সমাধান হচ্ছে। তাই সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা দরকার।

শেরপুর জেলা বিসিক শিল্প কর্পোরেশনের উপ-ব্যবস্থাপক বিজয় কুমার দত্ত বলেন, জামদানি শাড়ি জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। জামদানি শাড়ির চাহিদা আগে থেকেই রয়েছে। জেলায় ইতোমধ্যে অন্তত ২২টি তাঁত পল্লী গড়ে ওঠেছে। এই শিল্পের সাথে জড়িতদের জন্য প্রশিক্ষণ ও ঋণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তাদের তৈরি কাপড় নিজস্ব বিক্রয় মাধ্যম ছাড়াও সরকারিভাবে মেলায় বিক্রির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ