1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩:১৬ অপরাহ্ন

যেভাবে উদ্ধার হলো ‘এমভি রুয়েন’

  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪
  • ২৭ বার দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারত মহাসাগরে বিশেষ কমান্ডো অভিযান চালিয়ে সোমালিয়ার জলদস্যুদের ছিনতাই করা একটি বাণিজ্যিক জাহাজ শুক্রবার (১৫ মার্চ) উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌ বাহিনী। মাল্টার পতাকাবাহী এমভি রুয়েন নামের ওই জাহাজটি গত বছরের ১৪ ডিসেম্বরে ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।

জি ক্যাপ্টেন-এর খবরে বলা হয়েছে, ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা শুক্রবার ‘এমভি রুয়েন’ জাহাজটিকে আটকাতে সক্ষম হয়। এরপর সেখানে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে জাহাজটি জব্দ করা হয়। জাহাজটিতে থাকা ৩৫ জলদস্যুর সবাই আত্মসমর্পণ করেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী ধারণা, সম্প্রতি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাইয়ের কাজে এমভি রুয়েন জাহাজটিকেই ব্যবহার করেছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা।

গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ছিনতাই করে জলদস্যুরা। তারা বাংলাদেশি জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।

এর পরপরই ‘এমভি রুয়েন’কে আটকাতে অভিযান চালায় ভারতীয় নৌবাহিনী। শুক্রবার তারা ভারতীয় উপকূল থেকে প্রায় ১৪০০ নটিক্যাল মাইল (২৬০০ কিমি) দূরে আইএনএস কলকাতা যুদ্ধজাহাজ দিয়ে রুয়েনকে আটকাতে সক্ষম হয়। এরপর ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার এমভি রুয়েনের কাছে যায়। তখন সেটি লক্ষ্য তখন গুলি ছুড়ে জলদস্যুরা। এরপর ভারতীয় নৌবাহিনীর আরেক রণতরী আইএনএস সুভদ্রার সহায়তায়, ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি বিশেষ ইউনিট অভিযান চালিয়ে জলদস্যুদের কোণঠাসা করে ফেলে।

ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, একপর্যায়ে জাহাজটিতে থাকা ৩৫ জলদস্যুর সবাই আত্মসমর্পণ করে। জাহাজটিতে জিম্মি থাকা ১৭ নাবিককে উদ্ধার করা হয়েছে।

২০১৭ সালের পর রুয়েনই প্রথম জাহাজ কোনো জাহাজ যেটি সোমালিয়ার জলদস্যুরা সফলভাবে ছিনতাই করতে পেরেছিল। বর্তমানে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের আক্রমণের দিকে বেশি নিবিষ্ট রয়েছে পশ্চিমা শক্তি। ফলে লোহিত সাগরের পূর্বদিকে জলদস্যুদের বিরুদ্ধে জাহাজগুলোকে নিরাপত্তা দিতে অন্তত এক ডজন যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ভারত।

রুয়েনের সফল উদ্ধার এই অঞ্চলে জলদস্যুতার বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ জলদস্যুরা জাহাজটির জন্য মুক্তিপণ আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ