1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:২৪ অপরাহ্ন

রমজানের আগেই বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৩৮ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ মার্চ শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস। রমজানকে কেন্দ্র করে ১৫ দিন আগেই নিত্যপণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কাপ্তান বাজার ও রায়েরবাগ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, চিনি, পেঁয়াজ, ছোলা, খেজুর, চিনি, মুরগি প্রভৃতির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ছোলার দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকা হয়েছে।

কাপ্তান বাজারের মায়ের দোয়া মুদি দোকানের মালিক মোহাম্মদ বেলয়েত হোসেন বলেছেন, রমজান মাস আসতে এখনও প্রায় ১৫ দিন বাকি। এরইমধ্যে সবকিছুর দাম বেড়েছে। চিনির দাম কেজিতে ৭ থেকে ১২ টাকা বেড়ে ১৪৫-১৫০ টাকা হয়েছে। ২৫ দিন আগেও প্রতি কেজি খোলা চিনি পাইকারি বাজার থেকে কিনতাম ১৩০ টাকায়। সেটা এখন কিনতে হচ্ছে ১৩৭ টাকায়। প্যাকেট চিনি ১৪৫ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। ছোলা ১০৫ থেকে ১১০ টাকা এবং খেসারির ডাল ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি করছি। পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা সাদা আটা ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা বাড়তি দামে কিনে সামান্য লাভে বিক্রি করছি। সরকারের উচিত, কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করা। বিশেষ করে, যারা বড় বড় পাইকারি ব্যবসায়ী, তাদের মানি রিসিট দেখা প্রয়োজন। তারা কত টাকায় কিনলো এবং কত টাকায় বিক্রি করছে, তা দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

রায়েরবাগ বাজারের ফল ব্যবসায়ী বোরহান বলেন, সাধারণ মানের খেজুর এখন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মোটামুটি ভালো মানের খেজুর ৭০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

কাপ্তান বাজারের মেসার্স লামিয়া ট্রেডার্সের বিক্রেতা মোহম্মদ সালাম হাওলাদার বলেন, গত বছর রমজানে ১২০ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রি করেছি। এ বছর তা ১৪৫-১৫০ টাকায় বিক্রি করছি। গত বছর ছোলা বিক্রি করেছি ৮০ টাকা কেজিতে। এখন মানভেদে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকায় টাকা বিক্রি করছি।

কাপ্তান বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মো. শামীম মিয়া বলেন, জানুয়ারির শেষদিকে মুরগি ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা করে বিক্রি করেছি। ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখের পর দাম বাড়তে শুরু করেছে। শবে বরাতের আগের দিন ২১০ টাকা থেকে ২১৫ টাকা করে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছি। অন্যান্য মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার মনিটরিংয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসের তুলনায় ১৮ ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। গত মাসে এ সময়ে বাজারে প্রতি কেজি ছোলার দাম ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা।

কাপ্তান বাজারে আসা ক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সব জিনিসের দাম যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, আয় সেভাবে বাড়ছে না। গত বছর এ সময় পেঁয়াজ কিনেছিলাম ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে। সেই পেঁয়াজ এখন ১১৫ টাকা। চিনি ও ছোলার দামও বেড়েছে। রমজানের ১৫ দিন বাকি, এখনই এত দাম! রমজান শুরু হলে কী হবে, সেটা নিয়ে টেনশনে আছি।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, সরকার রমজান মাসে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা, সাধারণ মানুষ যেন ন্যায্যমূল্যে পণ্য পান। কোনো মিল কিংবা পণ্য আমদানিকারক ইচ্ছাকৃতভাবে পণ্য সরবরাহ না করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজার মনিটরিং করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, রোজার আগে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি চাল, চিনি, তেল ও খেজুরের শুল্ক-কর কমানোর ঘোষণা দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে, এখনও বাজারে কোনো পণ্যের দাম কমার লক্ষণ মিলছে না।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ