1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১১:৪২ অপরাহ্ন

বার বার হেঁচকি আসে কেনো জানেন?

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৮৩ বার দেখা হয়েছে

স্বাস্থ্য ডেস্ক : খাবার খাওয়ার সময় বা অবসর কাটানোর সময় হঠাৎ হেঁচকি আসাটা স্বাভাবিক মনে হয়। কিন্তু ধরুন আপনি মিটিংয়ে বসেছেন আর হেঁচকি আসতে শুরু করলো। এতেই আপনি বিপত্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। হেঁচকি কেন আসে জানেন? এর মূল কারণ হচ্ছে, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা। অনেক সময় ভয় দেখিয়েও হেঁচকি থামানো সম্ভব বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

হেঁচকির সময় শ্বাসনালীতে সামান্য খিঁচুনির মত হয়। এই সময় শ্বাসযন্ত্রে দ্রুত বাতাস প্রবেশ করে। আর ভোকাল কর্ড হঠাৎ বন্ধ হয়ে ‘হিক’ শব্দ তৈরি হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ফুসফুসের নীচের পাতলা মাংসপেশীর স্তর থাকে। এর হঠাৎ সংকোচন ঘটলে হেঁচকি তৈরি হয়। হেঁচকি ওঠার একশোর বেশি কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে হেঁচকির সবচেয়ে সাধারণ কারণ হচ্ছে দ্রুত খাবার গ্রহণ করা। দ্রুত খাওয়ার কারণে খাবারের সঙ্গে সঙ্গে পেটের ভেতর বাতাস প্রবেশ করে। ফলে নার্ভের কার্যকলাপ বাধাগ্রস্ত হয়। এবং হেঁচকি তৈরি হয়।

হেঁচকি তৈরির আরও কারণ রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- চেতনানাশক, উত্তেজনাবর্ধক, পার্কিনসন্স রোগ বা কেমোথেরাপির বিভিন্ন ধরণের ওষুধ সেবন করা। এছাড়া কিছু অসুখের ক্ষেত্রেও মানুষের হেঁচকি হতে পারে। যেমন, কিডনি ফেল করলে, স্ট্রোকের ক্ষেত্রে, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস বা মেনিনজাইটিসের ক্ষেত্রেও হেঁচকি তৈরি হয়।

কিন্তু অধিকাংশ সময়ই হেঁচকি শুরু হওয়ার জন্য এর কোনো কারণই দরকার হয় না। হেঁচকি আসার আরও কিছু সাধারণ কারণ হচ্ছে, অতিরিক্ত মদ্যপান, অতিদ্রুত খাবার গ্রহণ করা, ঝাঁঝসহ পানীয় খাওয়া। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় হেঁচকির উদাহরণও কিন্তু রয়েছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের চার্লস অসবোর্নের ঘটনাকে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে হেঁচকি ওঠার বিশ্ব রেকর্ডের উদাহরণ হিসেবে মনে করা হয় । ১৯২২ সালে হেঁচকি তোলা শুরু করেন তিনি। কথিত আছে সেসময় তিনি একটি শূকর ওজন করার চেষ্টা করছিলেন। মি. অসবোর্ন হেঁচকি তোলা থামান ১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারিতে – মোট ৬৮ বছর পর।

হেঁচকি থামানোর উপায় : হেঁচকি থামানোর জন্য দুইটি উপায় প্রয়োজন। একটি হলো রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়া যেন শ্বাসনালীতে খিঁচুনি বন্ধ হয়। আরেকটি হচ্ছে শ্বাসপ্রশ্বাস ও গলধকরণের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা স্নায়ুকে উদ্দীপ্ত করা।

এর জন্য কাগজের ব্যাগে নিশ্বাস ফেলা (ব্যাগ মাথা দিয়ে ঢুকাবেন না), দুই হাঁটু বুক পর্যন্ত টেনে ধরে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়া, বরফ ঠাণ্ডা পানি পান করা, চিনি খাওয়া, লেবুতে কামড় দেয়া, একটু ভিনেগারের স্বাদ নেওয়া, স্বল্প সময়ের জন্য দম বন্ধ করে রাখা।

চিকিৎসকের পরামর্শ যখন নিতে হবে : হেঁচকি সাধারণত আপনা থেকেই ভালো হয়ে যায়, তবে যদি দীর্ঘসময় ধরে হেঁচকি উঠতে থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। হেঁচকির তীব্রতা বাড়লে ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ