1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৮ অপরাহ্ন

স্কুল শিক্ষার্থীর কারণে রক্ষা পেলেন ট্রেনের শতাধিক যাত্রী

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৪৫ বার দেখা হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী : নীলফামারীর ডোমারে রেল লাইনে ফাটল দেখতে পেয়ে ট্রেন থামাতে চিৎকার শুরু করেন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আনোয়ারা বেগম। তার আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে দ্রুত লাল চাদর টাঙিয়ে থামার সংকেত দেন ‘তিতুমীর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটিকে। দ্রুত লোক মাস্টার ট্রেনটি থামিয়ে দেন। এর ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন প্রায় শতাধিক যাত্রী।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বাগডোকরা হাজীপাড়া গ্রামের আব্দুর রউফ সাহেবের ঘুন্টি এলাকায়।

আনোয়ারা বেগম আব্দুর রউফ সাহেবের ঘুন্টি এলাকার মাহিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘দুপুর আড়াইটার সময় আমি বাড়ির পাশে রেল লাইন দিয়ে হাঁটছিলাম। সমানে দেখতে পাই রেল লাইনে বড় ফাটল। আমি প্রথমে আমার নানিকে বিষয়টি জানাই। তারপর রেল লাইনে ফাটল ধরেছে বলে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। এসময় চিলাহাটি থেকে রাজশাহীগামী ‘তিতুমীর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি আসলে আমরা লাল চাদর দেখিয়ে ট্রেনটি থামিয়ে দেই।’

রেল লাইন পাহারার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য মো. মশিয়ার রহমান বলেন, ‘রেল লাইনের ফাটল দেখতে পেয়ে আমরা দ্রুত কর্তৃপক্ষকে অবগত করি।

রেলওয়ের মিস্ত্রি সিএস সবুজ জানান, শীতকালে লাইন সংকুচিত হয়ে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিচ্ছে।

ডোমার রেল স্টেশন মাস্টার বাবু হোসেন বলেন, এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর জানার পর পিডব্লিউডি অবহিত করি। পরে তাদের মিস্ত্রিরা ঘটনাস্থলে আসে। তিতুমীর ট্রেনের লোকো মাস্টারকে ট্রেনটি ১০কিলোমিটার গতিতে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপর ট্রেনটি কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই নিরাপদে গন্তব্যের উদ্দেশ্য রওনা দেয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ