1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৫ অপরাহ্ন

কক্সবাজারে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি তদন্তে র‌্যাব

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১০০ বার দেখা হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার : নবনির্মিত ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী বিরতিহীন একমাত্র ট্রেন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ এর টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে আদালতের দায়ের স্বপ্রণোদিত মামলা তদন্ত করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে সরেজমিন প্রাথমিক তদন্ত কাজ শুরু করেছেন র‌্যাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তদন্তের নেতৃত্ব দেওয়া কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী বলেন, ‘ট্রেনটি এ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন। এখন স্বপ্ন নিয়ে খেলছে কালোবাজারির দল। আমরা সরেজমিন তদন্ত শুরু করেছি। যারাই জড়িত থাকুক, তাদের সম্পৃক্ততার তথ্যসহ আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু কালোবাজারি নয়, রেল লাইনে যে নাশকতা চলছে; তার প্রভাব এখনও কক্সবাজারে পড়েনি। আমরা সার্বক্ষণিক বিষয়গুলো নজরদারিতে রেখেছি। স্টেশনের যে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকব।’

আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানান আবু সালাম চৌধুরী। গত ১৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-১ এর বিচারক শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা কালোবাজারি দমনে মামলা দায়ের করেন।

মামলার আবেদনে বলা হয়, কক্সবাজার এক্সপ্রেসের টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদে বলা হয়েছে, একটি সিন্ডিকেট টিকিট বাগিয়ে নেওয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। যা ফৌজদারি কার্যবিধিতে আমলযোগ্য। বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত স্বপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে র‌্যাব-১৫ কে তদন্তের নির্দেশ দেন। টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে কি-না তদন্ত করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

গত ১১ নভেম্বর কক্সবাজার এক্সপ্রেসের উদ্বোধন হলেও বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু করে ১ ডিসেম্বর থেকে। প্রথম দিন থেকে এই ট্রেনের টিকিটের ব্যাপক চাহিদা দেখা যাচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী টিকিট না পাওয়া যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। অভিযোগ উঠেছে, অনলাইন ও কাউন্টারে টিকিট পাওয়া না গেলেও কালোবাজারে বেশি দামে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি টিকিটের জন্য দেড় থেকে দুইশত টাকা বাড়তি চাওয়া হচ্ছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ