1. [email protected] : বাংলারকন্ঠ : বাংলারকন্ঠ
  2. [email protected] : বাংলারকন্ঠ.কম : বাংলারকন্ঠ.কম
  3. [email protected] : nayan : nayan
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১২:৫৫ অপরাহ্ন

সুন্দরবনে বাঘ গণনা শুরু

  • আপডেট সময় : রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৪২ বার দেখা হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট : সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে ক্যামেরা ট্রাপিং পদ্ধতিতে বাঘ গণনা শুরু হয়েছে। রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের হাড়বাড়িয়া ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রে এই জরিপ কাজের উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। জরিপের ফলাফল জানা যাবে ২০২৪ সালের ২৯ জুলাই।

বাঘ গণনা কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো, বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক ড. আবু নাসের মহসিন হোসেন, বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের (খুলনা) বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নুরুল করিম, চাঁদপাই রেঞ্জের (মোংলা) সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব ও করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির প্রমুখ।

জানা যায়, সুন্দরবনের চাঁদপাই এবং শরনখোলা রেঞ্জে ৩০০টি স্টেশনে দুটি করে মোট ৬০০টি ক্যামেরা বসিয়ে বাঘের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে। পরে তা বিশ্লেষণ শেষে ২০২৪ সালের ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবসে বাঘের প্রকৃত সংখ্যা তুলে ধরা হবে। বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় বাঘ গণনার কাজে ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। বাকি দুটি রেঞ্জ বাগেরহাটের পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগের সাতক্ষীরা ও খুলনা রেঞ্জে ইতোমধ্যে জরিপ কাজ শুরু হয়েছে। আগামী বছরের এপ্রিল মাসে এই জরিপ কাজ শেষ হবে।

উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, ‌‘সুন্দরবন বাঁচলে বাঘ বাঁচবে। তাই সুন্দরবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করে বাঘ সংরক্ষণ করতে হবে। বাঘ সংরক্ষণের জন্য যা যা করা দরকার আমরা করব। তবে এক্ষেত্রে বনরক্ষীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।’ বাঘ সংরক্ষণের জন্য সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয়ে বসবাসকারীদেরকে বাঘের গুরুত্ব জানানোর কথাও বলেন তিনি।

বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. আবু নাসের মহসিন বলেন, বাঘ গণনার বৈশ্বিক যে পদ্ধতি সেটা হলো ক্যামেরা ট্রাপিং পদ্ধতি। এর মাধ্যমে বাঘের ঘনত্ব নির্ণয় করে বাঘের সংখ্যা নির্ণয় করা হয়। বাংলাদেশেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করে ৬ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে ৪ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটারে বাঘ গণনার কাজ চালানো হবে। ক্যামেরার মাধ্যমে বাঘের মুখ ও ডোরাকাটার ছাপ উঠে আসবে। এটা জটিল একটা পরিসংখ্যান কাজ। এ কাজ করেই বাঘের সংখ্যা বের করা হবে।

সুন্দরবনে প্রথম বাঘ জরিপের কাজ শুরু হয় ২০১৩-১৪ সালে। সেই জরিপে ১০৬টি বাঘ সুন্দরবনে আছে বলে জানা যায়। ২০১৮ সালে সর্বশেষ জরিপে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ